সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাওড়া ডিভিশনে সোমবার থে’কে ব’ন্ধ হ’কা’রি, রেলের সি’দ্ধা’ন্তে বড় বি’পা’কে হকাররা

লোকাল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের উপরেই তাদের জীবনযাত্রার গতি নির্ভর করে। ট্রেন যদি চলে, তবেই তাদের পেট চলবে। করোনা এসে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে কার্যত তাদের রোজগারে সরাসরি কোপ পড়েছে। কথা হচ্ছে স্টেশন চত্বরে এবং ট্রেনে যারা নিত্যযাত্রীদের পরিষেবা দিয়ে থাকেন, সেই হকারদের নিয়ে। করোনা পরবর্তী পর্যায়ে যখন ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দেশ, তখন ট্রেন চলাচলও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে।

ট্রেন চলাচল পুনরায় চালু হওয়াতে তারা আশার আলো দেখেছিলেন। তবে হাওড়া আরপিএফের একটি ঘোষণা তাদের রুটি-রুজিতে ফের কোপ ফেলেছে। সম্প্রতি আরপিএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সোমবার থেকে হাওড়া স্টেশনে হকাররা আসতে পারবেন না। হাওড়া ডিভিশনের কোনো ট্রেনে উঠতে পারবেন না হকাররা। জানিয়ে দেওয়া হলো রেল দপ্তরের তরফ থেকে।

আরপিএফ সিনিয়র কমান্ড্যান্টের তরফ থেকে প্রতিটি পোস্টের অফিসারকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলন্ত ট্রেনে হকার উঠলেই দায়ী করা হবে সংশ্লিষ্ট পোস্টের অফিসারকে, কড়া বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই কথা। হাওড়ার সিনিয়র ডিএসসি অজয়প্রকাশ দুবে জানালেন, রেল বোর্ডের নতুন নিয়মে এবার থেকে আর ট্রেনে উঠে হকারি করতে পারবেন না কেউ।

আরপিএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ট্রেনে হকারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন। সম্প্রতি ব্যান্ডেলে ট্রেনের মধ্যে আরপিএফ এবং হকারদের তুমুল বচসা বেঁধে যায়। আরপিএফ অফিসারদের উপর আক্রমণ চালিয়ে বসেন হকাররা। এই নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরপিএফ। যদিও আরপিএফের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার কথা ভাবছে হকার সংগঠন।