আমরা যদি বলিউডের অন্দরমহলে গিয়ে কান পাতি তাহলেই কিছু না কিছু শুনতেই পারব, যেটা কিনা অনেকটাই অবাক করার মতো। আসলে বলিউডের ভেতরকার খবর তেমন একটা আমাদের সামনে তেমন একটা আসে না বা আসতে দেওয়া হয় না। যখন অতিরিক্ত কাদাছোড়াছুড়ি হয় তখনই সেটা প্রকাশ্যে আসে। যদি আমরা প্রীতি জিন্টা ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কথা বলি তাহলেই দেখতে পারব যে কি হয়েছিল তাদের মধ্যে যার কারণে একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে তারা।
শোনা যায় তারা একে অপরের কেরিয়ার নষ্ট করেছে। তারা এখন দুজনেই বলিউড থেকে দূরে। প্রীতি জিন্টাকে আমরা সবার প্রথমে দিল সে ছবিতে দেখেছিলাম, আর সেখানেই তিনি বাজিমাত করে দিয়েছিলেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে আমরা প্রথম দেখেছি দ্য হিরো লভ স্টোরি অফ আ স্পাই ছবিতে বিপরীতে তার ছিল সানি দেওল। সেই ছবিতে অবশ্য প্রীতি জিন্টাও ছিল।
আর সেই ছবি থেকেই নাকি তাদের মধ্যে এক প্রকার দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। প্রীতি ভেবেছিল প্রথম ছবি হয়ত বন্ধুত্ব পূর্ণ আচরণ করবে প্রিয়াঙ্কা কিন্তু তা না করে একেবারে প্রতিযোগি হয়ে ওঠেন প্রিয়াঙ্কা। এভাবে অনেক বছর কেটে যায়, প্রীতি দারুণ দারুণ সব ছবি করছিলেন, আর সেগুলো দারুণ সফলও হচ্ছিল।
আরো খবর: গাড়ি-বাড়ি সবকিছুই মি’ল’বে, শুধু প্রেমিকা হিসেবে তোমাকে চা’ই!
কিন্তু সময়টা ঘুরে যায় কৃষ ছবি মুক্তির পর, ২০০৩ সালে কোই মিল গায়া ছবিতে প্রীতি অভিনয় করে বিপরীতে ছিল হৃত্বিক। এই ছবির পরেই রিলিজ হয় কৃষ , আর তারপরে সেখানে প্রিয়াঙ্কা নায়িকা হিসেবে জায়গা পান, আর তার কারণেই কেরিয়ারের গ্রাফ অনেকটাই উচুতে উঠে যায় তার।
তাকে সব পরিচালক তখন থেকেই অন্য চোখে দেখতে থাকে। আর তারপরে প্রিয়াঙ্কা করতে থাকে অনেক ভালো ভালো ছবি, সেগুলো নাকি কিছু কিছু প্রীতির করার কথা ছিল বলেও কানাঘুষো শোনা আয়।
কিন্তু এখন তারা দুজনেই বলিউড থেকে অনেক দূরে,। দুজনেই কিন্তু বিদেশীকে জীবন সঙ্গী হিসেবেই বেছে নিয়েছে। মোট কথা একে অপরের সফলতা দিয়ে তারা চুপিসারেই একে অপরের ক্ষতি করেছে যেটা বর্তমানে বোঝা যাচ্ছে।