সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মেয়েরা বে’শি ভোগেন থাইরয়েডের স’ম’স্যা’য়, জানুন কি করবেন কি করবেন না

আজকের দিনে সুগার ,প্রেসার এর মতই থাইরয়েড যেন একটা কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলতে গেলে থাইরয়েড এমন একটি রোগ যেটি কখন আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে তা ভ্রুনাক্ষরে টের পাওয়া যায় না। তবে এই প্রতিবেদনে আমরা এই রোগ সম্পর্কে যে সমস্ত কিছু আলোচনা করব তাতে অনেকেরই অনেক কিছু জানা হয়ে যাবে।

বিশেষ করে হরমোনের অতিমাত্রায় উৎপাদন অথবা ঘাটতি এই দুটি কারণে থাইরয়েডের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। সবাই হাইপার থাইরয়েডিজম থাইরয়েড হরমোন যখন অত্যাধিক পরিমাণে উৎপাদন হয় তখনই অভাব হয় হাইপোথাইরয়েডিজমের।

বিশেষ করে থাইরয়েড থাকে গলায় এবং এটি এক ধরনের ছোট গ্রন্থি। হরমোনের স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন অথবা ঘাটতি হয় তখনই নানান রকমের সমস্যার সম্মুখীন হোন সকলে। বিশেষ করে এই থাইরয়েডের সমস্যার সম্মুখীন হন নারীরা। থাইরয়েড হলে শরীরের দুর্বলতা, ডায়রিয়া, শরীরে কাঁপুনি, ওজন কমে যাওয়া, অনিদ্রা এই সমস্ত সমস্যাগুলি দেখা দেয়।

আরো পড়ুন: যেন লাল চোখ! পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূ’রে ন’য়া ছায়াপথের সন্ধান পে’লো নাসা

চিকিৎসকদের মতে এই ধরনের রোগ বিশেষ করে খাদ্যভাস এবং জীবনযাত্রার ওপরই নির্ভর করে হয়। এবার আসুন জেনে নি থাইরয়েডের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য কি কি খাবার আমাদের খাওয়া উচিত এবং কি কি খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী যারা হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হয়েছেন তারা মাছ অথবা ডিম খেলে উপকার পাবেন।

ডিমে রয়েছে আয়োডিন এবং সেলেনিয়াম অন্যদিকে ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রচুর প্রোটিন এছাড়াও খাওয়া যেতে পারে মাংস, সহ সব রকমের সামুদ্রিক খাবারদাবার । শুকনো ফল হিসেবে খাওয়া যেতে পারে বাদাম, যেগুলোতে সেলেনিয়াম অত্যন্ত পরিমাণে থাকে। আখরোট, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি খাওয়া খুব ভালো।

তবে এ ক্ষেত্রে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে এই ধরনের শুকনো ফল দিনে কখনোই দু’তিনটের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। থাইরয়েডের ঘাটতি হলে, সে ক্ষেত্রে প্রোটিন জাতীয় খাবার অর্থাৎ ডাল মুগ, মুরগির মাংস, মাছ ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

অন্যদিকে যদি হাইপার থাইরয়েডিজম সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে তাদের দুধ, পনির ইত্যাদি খাওয়া উপকারী। যারা থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত তাদের বিভিন্ন রকম জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলা উচিত। এবং নিয়মিত একটি ডায়েট চার্ট ফলো করা উচিত এবং সাথে ব্যায়াম এর দিকে নজর দেওয়া উচিত।