সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মিষ্টি না নোনতা জলের মাছে আ’ছে বে’শি পুষ্টিগুণ? কি বলছেন পুষ্টিবিদরা?

আমাদের মত বাঙালি যারা তাদের চিকেন, মটন, বা বিরিয়ানি যত কিছুই দাও না কেনো দুপুরে খেতে বসে একটু মাছ না হলে চলে না, যাকে বলে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালির মাছের প্রতি একটা আলাদাই আবেগ। নানান রকমের মাছ খেতে ভালোবাসেন বাঙালিরা। এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশের দিকের মানুষেরা জলের পোকা বলে উপহাস করলেও বাঙালিদের কিছু যায় আসে না। তারা তাদের মাছ ভাত নিয়ে দারুণ খুশি।

কিন্তু কোন মাছ পুষ্টিকর আর কোন মাছ নয় সেটা জানাও প্রয়োজনীয় আসুন সে বিষয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক। চিকিৎসা বিজ্ঞান জানাচ্ছে, মাছ খেয়ে আমি-আপনি শরীরের উপকারই করি। এই খাবারের মধ্যে একাধিক গুণ রয়েছে। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে দিতে পারে মাছ। তাই ডায়েটে নিয়মিত মাছ রাখা দরকার।

বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, মাছে রয়েছে ফার্স্টক্লাস প্রোটিন। তাছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন যেমন আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। তাই মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত। মাছ সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। মিষ্টি জলের মাছ আর সমুদ্রের মাছ।

আরো খবর: মহাকাশে উৎপাদন হ’লো প্রায় ২০০০ কেজি টমেটো, নিয়ে আ’সা হলো পৃথিবীতে

মিষ্টি জলের মাছ :- ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, ছোটবেলায় সাধারণত আমরা মিষ্টি জলের মাছই খেয়েই বড়ো হয়েছি। রুই, কাতলা,ভোলা ভেটকি, কই ইত্যাদি হল মিষ্টি জলের মাছ। এই ধরনের মাছ কিন্তু অত্যন্ত উপকারী। এই সকল মাছে আপনি যেমন প্রোটিন পাবেন, ঠিক তেমনই ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়ামের মতো উপকারী উপাদানও মিলবে। ফলে রক্তাল্পতা সারে, হাড়ের শক্তিবৃদ্ধি হয়। এমনকী পেশি হয় সুগঠিত। অতএব এই ধরনের মাছ খাওয়া অত্যন্ত ভালো।

সমুদ্রের জলের মাছ :- মাছ হিসেবে সমুদ্রের জলের মাছ ও কিছু কম পুষ্টিকর নয়। তবে দেখা গিয়েছে যে প্রতি ১০০ গ্রাম সামুদ্রিক মাছে প্রোটিনের পরিমাণ মিষ্টি জলের তুলনায় সামান্য বেশি থাকে। তাই পকেটে কুলালে পমফ্রেট, ইলিশ মাছ অবশ্যই খেতে পারেন। তবে সবথেকে ভালো হয় স্যালমন, টুনা জাতীয় মাছ খেতে পারলে। এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি। এইওমেগা থ্রিকিন্তু মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে। এমনকী হার্ট ভালো রাখে। ফলে শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে এই ধরনের মাছকে নিত্যসঙ্গী করে নিন।