কথায় বলে শিক্ষা আনে চেতনা কিন্তু এই খবর শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে! পার্থক্য করতে পারবেন না শিক্ষিত আর অশিক্ষিতের মধ্যে। পণপ্রথা ভারতের দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু সব সমাজের শিক্ষিত মানুষের মধ্যে কি সেই অপরাধের খবর পৌঁছেছে! তা না হলে পছন্দের গাড়ি না পেয়ে নিজের বিয়ে বাতিল করে দিলেন স্বয়ং অধ্যাপক! এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
পাত্রীপক্ষের কাছে ফরচুনার গাড়ি চেয়েছিলেন অধ্যাপক। কিন্তু তার বদলে আসে ওয়াগনার। ব্যাস সিদ্ধার্থ বিহার নামে উত্তর প্রদেশের সরকারি কলেজের ওই অধ্যাপক নিজের বিয়ে বাতিল করে দেন। পাত্রীর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে তিনি জানিয়ে দেন ফরচুনার ছাড়া তিনি বিয়ে করবেন না।
যদিও ফরচুনার দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না পাত্রী পক্ষের বাড়ির লোকের। কিন্তু তাই বলে এমন অপমান সহ্য করতে না পেরে অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। মেয়ের বিয়ে তো দেবেন না বরং জেলের ঘানি টানাবেন জামাই বাবা জীবনকে। গোটা ঘটনায় মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে গাজিয়াবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আরো খবর: বি’ত’র্কে’র মাঝেই পাঠানের ট্রেলা’র রি’লি’জ, দেশপ্রেমের ছোঁ’য়া শাহরুখের ডায়লগে
গত ১০ ই অক্টোবর পাত্রীপক্ষের বাড়ি থেকে একটি ওয়াগনার গাড়ি বুক করা হয়। এরপর তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাত্রের বাড়িতে। কিন্তু এই গাড়ি নেবেন না বলে ২৩ নভেম্বর বিয়ে বাতিল করে দেন অধ্যাপক।
এরপরেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো শিক্ষিত অশিক্ষিতের পার্থক্য নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে পণ দেওয়া বা নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ সেখানে এমন খবর শুনে রীতিমতো অবাক গোটা দেশ। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।