সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কোনোভাবেই স্বাভাবিক স’ম্প’র্ক হবে না, ভারত-চীন নিয়ে ম’ন্ত’ব্য বিদেশমন্ত্রীর

২০২০-তে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি সংলগ্ন এলাকায় আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন। তারপর থেকে দু’বছর কেটে গেলেও সমস্যা কিছুই মেটেনি। বেশ কয়েকটি জায়গায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা। অন্যদিকে এই মাসেই তাইওয়ানে আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ৬দিক থেকে ঘিরে রেখে টানা ৪ দিন ধরে সামরিক মহড়া চালায় লালফৌজ।

এই সব কারণের জন্য চিন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা উঠলে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, সীমান্ত-সমস্যা না মিটলে স্বাভাবিক সম্পর্ক সম্ভব নয়। সীমান্তে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা হলে ভবিষ্যতে দুই দেশের উপরেই তার প্রভাব পড়বে বলে বলেছেন তিনি। শুক্রবার বেঙ্গালুরু যান একটি অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী। সেখানে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত সমস্যা না মিটলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়।

চীন যদি ভারতের শান্তি ভঙ্গ করতে চায় তার প্রভাব দুই দেশের জন্যই ভালো হবে না। ” ভারত নিজের অবস্থানে অটল রয়েছে”।
তাঁর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রীর আরও দাবি করেন যে, “এলএসি সংলগ্ন এলাকা থেকে পিএলএ-কে সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই জায়গায় মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী।”

আরো পড়ুন: ভুল ভা’ঙা’তে হবে মানুষদের, দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামার নি’র্দে’শ দিলেন অভিষেক

এছাড়াও,শুক্রবার চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প নিয়েও মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রী । তিনি বলেন “ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা হচ্ছে। তৃতীয় একটি দেশ ভারতের সেই জমিতে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে যা বেআইনিভাবে কব্জা করে রেখেছে অন্য একটি রাষ্ট্র।”

বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সরাসরি চীনের নাম না নিয়েই তিনি তাদের এই অজ্ঞাসন নীতির বিরোধিতা করেন। গত বৃহস্পতিবার চীনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’-র দক্ষিণ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল।

কিন্তু এই নিয়েও আপত্তি জানায় ভারত। শুক্রবার শ্রীলঙ্কা বন্দরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ” নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাম্বানটোটা বন্দরে ভিড়বে না চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ “। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের চাপেই বেজিংয়ের (Beijing) চাল পণ্ড হয়ে গেছে শেষপর্যন্ত।