সম্প্রতি নিউ মেক্সিকোতে আদিম মানুষের পায়ের ছাপ পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। সেই ছাপের উপর গবেষণা চালিয়ে জানা গিয়েছে প্রায় ২৩ হাজার বছর আগে উত্তর আমেরিকায় মানুষের উপস্থিতির নিদর্শন হলো এই পায়ের ছাপ। ২০০৯ সালে হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কে একটি শুকনো লেকের তলদেশে এই পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। এক পার্ক ম্যানেজার প্রথম এই পায়ের ছাপ দেখতে পান।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই পদচিহ্নের জীবাশ্মের বয়স যাচাই করে জানিয়েছেন এই জীবাশ্মের বয়স প্রায় ২২,৮০০ থেকে ২১,১৩০ বছর হতে পারে। এশিয়াকে আলাস্কার সঙ্গে যুক্ত করেছিল স্থলভূমির এক বিস্তীর্ণ অংশ। যার মাধ্যমে প্রাচীন অভিবাসন হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই স্থলভূমি সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যায়।
পাথরের তৈরি সরঞ্জাম, জীবাশ্মের হাড় এবং জেনেটিক বিশ্লেষণ সহ বিভিন্ন প্রমাণের উপর ভিত্তি করে জানা গিয়েছে ১৩,০০০ থেকে ২৬,০০০ বছর আগে উত্তর আমেরিকায় মানুষের আগমন হয়েছিল। সাংস্কৃতিক নিদর্শন, পরিবর্তিত হাড় বা অন্যান্য প্রচলিত জীবাশ্ম ছাড়াও এই পায়ের ছাপ কার্যত তাদের অবস্থানের সাপেক্ষে একটি প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
এই পায়ের ছাপের আকার-আকৃতি বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানিয়েছেন এগুলি সম্ভবত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের পায়ের ছাপ। সর্বশেষ তুষার যুগে এদের বাস ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য এর আগেও হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কে খনন করে একটি বিড়ালজাতীয় পশু, ডায়ারউলফ (বৃহদাকৃতির নেকড়ে), কলম্বিয়ান ম্যামথ এবং অন্যান্য বরফযুগের প্রাণীদের জীবাশ্ম মিলেছিল।