মাছ হলো আমিষ সেই কারণে কোনো পুজোতে মন্দিরে হোক কিংবা বাড়িতে মাছ ব্যবহার করে হয় না। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে বড় বড় মন্দিরের ভোগ হিসেবে অনেক সময় মাছও নিবেদন করা হয়ে থাকে।
নিবেদন করা ঠিক আছে কিন্তু তাই বলে মাছের হাড়কে নিয়মিত পুজো করা এটা আবার কেমন ব্যাপার? বিষয়টা অবাক লাগলেও এটার পিছনে রয়েছে গভীর একটি রহস্য।
মাছের হাড়ের পুজোর যে নিয়ম সেটি প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলে আসছে। এমনকি মাছের হাড়ের জন্য একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে, যেখানে নিয়মিত সেই হাড়ের পুজো করা হয়।
আরো পড়ুন: ছিঃ ছিঃ! টা’কা’র জন্য গত ৫ বছর ধ’রে নাবালিকা মেয়ের ডিম্বাণু বি’ক্রি, গ্রে’ফ’তা’র মা
ঘটনাটি গুজরাটের ভালসাদ তহসিলের মাগোদ দুংরি গ্রামের ঘটনা। জানা গেছে এই মন্দিরে একটি তিমির হাড়ের পুজো করা হয় ৩০০ বছর ধরে। এই মন্দিরটি মৎস্যজীবি সম্প্রদায় তৈরি করেছেন।
জানা গিয়েছে যে ওই গ্রামের মৎস্যজীবীরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন তার আগেই ওই মন্দিরে তারা পুজো দিতে যান। এই মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রার্থনা করেন যেন তারা ভালোমতো মাছ ধরে আবার বাড়ি ফিরে আসতে পারেন।
এই গোটা বিষয়ে জানা গিয়েছে যে ৩০০ বছর আগের লর্ড প্যান্ডেল নামের একজন একটি স্বপ্ন দেখেছিলে। স্বপ্নে একটি বৃহদাকৃতির মাছ তিনি দেখেছিলেন। স্বপ্নে দেখা গিয়েছিল এই মাছটি আস্তে আস্তে একজন দেবির রূপ নিয়েছিল।
অবাক করা বিষয় হল যখন ট্যান্ডেল সমুদ্র তীরে গিয়ে পৌঁছান সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখেন সত্যিই সেখানে একটি মাছ পড়ে আছে, এবং এটি একটি তিমি মাছ। যদিও সেই মাছটি মরা অবস্থা পড়েছিল। এরপর এই মাছটিকে তুলে এনে দেবীরূপে মন্দিরে পুজো করা শুরু হয়।