তাই এবারের চর্চার বিষয় হয়ে উঠল গৌতম গম্ভীরের বক্তব্যকে ঘিরে। এদিন গৌতম গম্ভীর তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট নিশানা করেছেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা নভজিত সিং সিধুকে। আমরা বহু সময়ে গৌতম গম্ভীরকে দেখেছি স্পষ্টবক্তা হিসেবে, যার ফলে তাঁকে বহু সময়েই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এবারও তার অন্যথা হয়নি, আসল সমস্যাটি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বড়দা বলে সম্বোধন করেছেন সিধু। তাকে ঘিরেই বিপত্তি, পাকিস্তানের করতারপুর গুরুদুয়ারা সিধু বলেছিলেন ইমরান খান তাঁর বড় ভাইয়ের মতো।
তার কাছ থেকে তিনি অনেক ভালোবাসাও পেয়েছেন। সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বলেছেন দু’দেশের সম্পর্ক যাতে ভালো হয় তার জন্য ইমরান খান যেমন পা বাড়িয়েছেন তেমনই ভারতও দু’কদম এগিয়েছে।তিনি মোদি সাহেব এবং ইমরান ভাইকে অনুরোধ করেছেন যাতে দু তরফ থেকেই যাতে দরজা খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেন তাঁরা এতে দু’দেশেরই নাকি ব্যবসায়িক উন্নতি হবে বলে তিনি মনে করছেন।
তবে এদিনের সিধুর ইমরানকে বরদা বলে সম্মোধন করাকে গৌতম গম্ভীর একদমই সমর্থন করেননি। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্টই সমালোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এমনকি বিজেপি দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, যে দেশ থেকে জঙ্গি পাঠানো হয় সেখানকার প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কি করে সিধু ভাইজানকে খুঁজে পেলেন? সিধু ইমরান খানের নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলে গৌতম গম্ভীর ছাড়াও বিজেপির অনেকেই সিধুর এই বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেননি।
অপরদিকে পাঞ্জাবের মন্ত্রী পরগত সিংয়ের বক্তব্য, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গেলে দেশপ্রেমিক বলে সম্বোধন করা হয়, সেই একই দেশে গেলে কেন সিধুকে দেশদ্রোহী বলা হবে? এই নিয়ে যথেষ্ট চাপানোর শুরু হয়েছে এবং তার আঁচ সোশ্যাল মিডিয়াতেও এসে পড়েছে।