আমাদের সবার ইচ্ছা নিজের ফ্যামিলির বন্ধুদের সাথে কোনো ভালো সুন্দর রেস্টুরেন্টে গিয়ে দারুন দারুন খাবার খেয়ে সময় কাটানো । কিন্তু ব্যাপারটা যদি ঠিক উল্টে হয় , মনোরম পরিবেশের ভর্তি যদি উপভোগ করা যায় ভয়ানক পরিবেশ তাহলে কেমন হয় ? আজকে এমন কিছু রেস্টুরেন্ট এরনাম বলবো যাতে আপনার খাবারের সাথে ভয় না পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন ।
ডিনার ইন স্কাই – এই রেস্টুরেন্টটি বেলজিয়ামে অবস্থিত। মাটি থেকে এর উচ্চতা প্রায় 160 ফিট । শোনা যায় এই রেষ্টুরেন্টের চেয়ার-টেবিল হাওয়াতে ভাসে । মোট 22 টি টেবিল রয়েছে ।
সুতরাং খাবার খেতে হলে আপনাকে ভাসমান টেবিল থেকে খাবার খেতে হবে । তবে এই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে এক কোটি ডলারে নথিতে সই করে তবে যেতে হবে । বেলজিয়াম সহ 45 টি দেশে এরকম রেস্তোরাঁর রয়েছে ।
আরো পড়ুন: ৫০০ ও ২০০০ টাকার প্রতিটি নোট তৈ’রি করতে সরকারের ক’ত টা’কা খরচ হ’য়?
মাক হাউস পাব ইংল্যান্ড – এই রেস্তোরায় ঢুকলে মনে হবে যেন কবরে ঢুকে গেছেন । বেশ ভয়ানক গা ছমছম এক পরিবেশে তৈরি হয় । তবে সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা । মাঝে মাঝে কবর থেকে ভয়ানক শব্দ বের হয় ।
ডিজাস্টার ক্যাফে স্পেন – খাবার খেতে খেতে কখন ভূমিকম্প উপভোগ করেছেন ? না করলে চলে যান স্পেনের এই রেস্তোরাঁয় ।
শোনা যায় 7.8 মাত্রার এখানে ভূমিকম্পের পরিবেশ তৈরি করে খাবার পরিবেশন করানো হয় । দোলন এর মধ্যেই খাবার পরিবেশন করা হয় । এর ফলে পোশাকে ময়লা লেগে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় । রেস্তোরাঁর ওয়েটাররা এক বিশেষ ধরনের পোশাক পড়ে থাকেন।
ফর্টিজা মিডিসিয়া ইতালি – 2007 সালে রেস্তোরাঁ চালু করা হয় । প্রকৃতপক্ষে এটি একটি কারাগার । এই কারাগারে বন্দীদের রেস্তোরাঁর খাবার পরিবেশন করে । নিরাপত্তার জন্য এখানে প্লাস্টিকের বাসনের ব্যবহার করা হয় । এবং বন্দিরা নানাভাবে আগত ব্যক্তিদের বিনোদন করে থাকে । শোনা যায় এই রেস্তোরা এত ফেমাস যে কয়েক মাস আগে থেকে বুকিং করতে হয় ।
ভ্যাম্পায়ার ক্যাফে জাপান – জাপানের এই রেস্তোরাঁয় গেলে চারিদিকে শুধু দেখবেন কফিন কঙ্কালের দৃশ্য ভুতুড়ে শব্দ মোমবাতি লাল রঙের রক্ত যা ভ্যাম্পায়ারদের থাকার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ । তবে শোনা যায় এই রেস্তোরাঁটি সকালে বন্ধ থাকে । শুধু রাতে খোলা থাকে ।
নিউ লাকি রেস্টুরেন্ট আমেদাবাদ – এমন ভয়ঙ্কর পরিবেশ উপভোগ করার জন্য এবারে বাইরে যেতে হবে না । আমেদাবাদে তৈরি হয়েছে এমন এক রেস্টুরেন্ট । শোনা যায় এখানকার মালিক কবরের উপরে রেস্তোরাঁ তৈরি করেছে । মালিকের মতে মৃতদেহের পাশে খাবার খাওয়া পুণ্য । তাই তিনি এই রেস্টুরেন্ট তৈরি করেছেন । কবরগুলি রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। শোনা যায় বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের মধ্যে পালং পনির এখানকার বিখ্যাত ।