ভারত তথা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় মুকেশ আম্বানির নাম জ্বলজ্বল করে। এ দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তিনি। তিনি বর্তমানে এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। প্রথম স্থানে আছেন গৌতম আদানি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ তম স্থানে রয়েছেন ভারতের এই বিত্তবান পুরুষ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর কর্নধার হলেন মুকেশ আম্বানি। মুকেশ আম্বানির বাবা ধীরুভাই আম্বানি এবং মা কোকিলাবেন।
২০০৬ সালে ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর থেকেই মা কোকিলাবেন নিজের দুই ছেলে মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানির সাথেই থাকেন। লাইমলাইটে যদিও তিনি একেবারেই আসতে চান না। একমাত্র বাড়ির অনুষ্ঠানেই তাঁর দেখা পাওয়া যায়। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাতে চলেছি কে এই কোকিলাবেন।
আরো পড়ুন: SSC: এবার CBI-র পর তদন্তের ভা’র হা’তে নি’লো ED
১৯৩৪ সালে গুজরাটের খুবই নিম্নবিত্ত একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কোকিলাবেন। পরিবারের আর্থিক সমস্যার কারণে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি তিনি।
তবে ধীরুভাই আম্বানির সাথে বিবাহের পর তিনি তাঁর স্ত্রীর জন্য বাড়িতে একজন ইংরাজী শিক্ষকের ব্যবস্থা করেন এবং কোকিলাবেন ধীরে ধীরে ইংরাজী ভাষায় দক্ষতা আনতে সক্ষম হন।
জন্ম থেকেই কোকিলাবেন খাঁটি নিরামিষাশী। সেই কারণে তাঁর বাড়িতে মাংস প্রবেশ নিষিদ্ধ। মায়ের মতো মুকেশ আম্বানিও নিরামিষ খাবার বেশি পছন্দ করেন।
কোকিলাবেনকে বিয়ে করার পরেই ধীরুভাই আম্বানির রিল্যায়েন্স কোম্পানির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। তাই তিনি তাঁর স্ত্রীকে ভীষণ লাকি মনে করতেন। সেই কারণে ধীরুভাই আম্বানি কোনো নতুন কাজ শুরু করতেন তাঁর স্ত্রীর হাত দিয়ে।
বিদেশ ভ্রমণ কোকিলাবেনের ভীষণ পছন্দের। ধীরুভাই আম্বানি স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যেতে খুব পছন্দ করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পরও অভ্যাসবশত কোকিলাবেন বছরে একবার করে বিদেশে ঘুরতে যান। তাঁর সবচেয়ে পছন্দের জায়গা হল লন্ডন ও সুইজারল্যান্ড।
আম্বানি পরিবারের বিলাসবহুল গাড়ি বাড়ির তো অভাব নেই। কোকিলাবেনও দামি গাড়ি খুব পছন্দ করেন। অনেক নামীদামী গাড়ির মালকিন তিনি। তাঁর সবচেয়ে পছন্দের গাড়ি হল মার্সিডিজ বেঞ্জ।
কোকিলাবেনের পছন্দের রঙ গোলাপি। তাই যে কোনো অনুষ্ঠানে তাঁকে বেশি গোলাপি রঙের শাড়িই পরতে দেখা যায়। এমনকি সম্প্রতি নাতি আকাশ আম্বানির বিয়েতেও তিনি নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলেন গোলাপি রঙের শাড়িতেই।
