সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নতুন বছরে খুঁজুন নতুন সু’খ, দাম্পত্য হো’ক আ’রো মজবুত, রইলো কি’ছু টিপস

এমন অনেক মানুষ আছেন যারা সারা জীবন স্যাক্রিফাইস করেন শুধুমাত্র দাম্পত্য জীবনে সুখী হবেন বলে। প্রথম প্রথম সেই সুখের সন্ধান পান ঠিকই কিন্তু ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক হয়ে ওঠে একঘেয়েমি। দুজনেই নিজেদের জীবনে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে একে অন্যকে ঠিকমতো সময়ই দিয়ে উঠতে পারেন না। আর সেইকারণেই সম্পর্কের মাঝে চলে আসে দূরত্ব। বাড়তে থাকে ইগোর লড়াই। আর তাতেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নিত্যদিনের অশান্তি। তার জেরেই মিষ্টি মধুর সম্পর্ক হয়ে ওঠে তিক্ত। কিন্তু কবেই যে এই দূরত্ব বেড়েছে সেই হিসেব কেউ রাখেন না। তাই ঠিক করতে চাইলেও যেন অনেকটা দেরী হয়ে যায়।

এবার আর কোনো চিন্তা না করে নতুন বছরে সব ঠিক করে ফেলুন। পারিবারিক পরামর্শদাতারা এই কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছেন, তা মানলেই হতে পারে ম্যাজিকের মতো কাজ। নতুন বছরে দুজনে রেজোলিউশন নিন দাম্পত্য জীবনের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্বল্য কিভাবে জাদুমন্ত্রের দ্বারা ফিরিয়ে আনবেন। তাই দেরী না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে দাম্পত্য সম্পর্কের হারিয়ে যাওয়া প্রেম ফিরে পাবেন।

দাম্পত্য জীবনে ইতিমধ্যে পার করে ফেলেছেন বেশ কয়েকবছর! বাচ্চা, অফিস, সংসার সব নিয়ে খুব ব্যস্ত! আর শুধু আপনি কেন? আপনার সঙ্গীও ছুটে চলেছে কাজের পিছনে। কাজের চাপে দেরি করে বাড়ি ফেরা, রাতে বসে কাজ করা, আবার মাঝে মধ্যেই অফিস ট্যুর- এই রকম ভাবেই কাটছে দুজনের জীবন। নিজেদের জন্য সময় কোথায়? তাই এর মাঝেই নিত্যনতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে আপনাদের দাম্পত্য জীবনে। তাই বলি কি! প্রতিমাসে অন্তত একটা দিন রাখুন শুধু দুজনের জন্য। এই দিন কারও সঙ্গে নয়, বরং নিজেরা সময় কাটাবেন। পুরনো দিনের মতো প্রেমে মজে উঠুন। বিশেষ না হলেও নিজেদের জন্য বিশেষ করে তুলুন সাদামাটা কোনও ছুটির দিনকেই।

এই দিন ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে যেতে পারেন, বা যেতে পারেন কোথাও ঘুরতে। তবে, শুধু দুজনেই। মাঝে আসতে দেবেন না কোনো তৃতীয় ব্যক্তিকে। তাতে যে যা মনে করার করুক। Don’t care মনোভাব নিয়ে সারা মাসে একটা দিন বের করে ফেলুন শুধু দুজনের জন্য। যদি সম্ভব হয়, তবে বাচ্চাকে কারও কাছে রেখে যেতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের মাঝে আসা দুষ্টু সমস্যাগুলো এক নিমেষে উধাও হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্কই মজবুত হবে।

নতুন বছর থেকেই একে অপরের সাথে অহেতুক ঝগড়া বন্ধ করার প্রতিজ্ঞা করুন। নিজের মাথা ঠান্ডা করুন। যতটা সম্ভব দুজনেই ঝগড়া এড়িয়ে চলুন। তবেই, সব ঠিক হবে। একে অন্যের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন। সব সময় সব ক্ষেত্রে একজনের ইচ্ছে বজায় থাকলে ঝামেলা বাড়বে বই কমবে না। তাই দুজনের ইচ্ছে গুরুত্ব পাক সব সময়। এবার থেকে দুজনে মিলে সব সিদ্ধান্ত নিন।

শুধু তাই নয়, সব জিনিসের মধ্যে নেগেটিভ কিছু খোঁজা অনেকেরই স্বভাব থাকে। এর খারাপ প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। তাই এই বছরে পা দেওয়ার সাথে সাথেই ইতিবাচক মনাসিকতা বজায় রাখার রেজোলিউশন নিন। আর নিজেদের কথা অন্য কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়ে নিজেদের মধ্যেই রাখুন। কারণ অন্য ব্যক্তির উস্কানিতে খুব সামান্য ব্যাপারগুলোও বড়সড় আকার ধারণ করে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞররা পরামর্শ দিচ্ছেন সময়ের ওপর ভরসা রেখে কথা বলে নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই মিটিয়ে নেওয়া শ্রেয়।

এবার থেকে যৌ’ন চাহিদাকেও গুরুত্ব দিতে শিখুন। দাম্পত্য জীবনে এরও গুরুত্ব অনেক। অনেকে একথা মানতে চাননা বলে সমস্যা বাড়ে। দুজনে দুজনের কথা বোঝার চেষ্টা করুন। অনেক ক্ষেত্রেই বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই নানা কারণে অনেকে যৌ’ন মি’ল’নে’র আগ্রহ হারায়। কেন এমন হয় তা বোঝার চেষ্টা করুন। আর এই নতুন বছরে দুজনে দুজনের পাশে থাকুন। পায়ে পায়ে হেঁটে যান আরও অনেকগুলো বছর। একটা সম্পর্ক ভেঙে ফেলা সহজ, কিন্তু তা তৈরী করতে অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যায়।