সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ঠিক ক’তো ভোটে ভবানীপুরে জিতবেন মমতা? কি বলছে পরিসংখ্যান দেখে নিন

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল সংখ্যক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করেছেন। যদিও তিনি তার নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রাম থেকে জিততে পারেননি। তাই সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে হবে তাকে। শ্রীমৎ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপ নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে হতে চলা উপনির্বাচনের প্রার্থী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই।

প্রার্থী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার অনেক আগে থেকেই ভবানীপুর জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের ব্যানার, ছবি মারফত প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একদা মমতা ঘনিষ্ঠ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য কিছু ব্যবধানে হেরে যান। তারপর থেকেই উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী কোথাকার আসন থেকে লড়বেন, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

মাঝে শোনা যাচ্ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দা থেকেও ভোটে লড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজের পদ ছেড়ে দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১১ সালের নির্বাচনে এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই প্রথম জয়লাভ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতএব এই কেন্দ্রের সঙ্গে তার পুরনো যোগাযোগ রয়েছে।

একুশে নির্বাচনের আগে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একইসঙ্গে ভবানীপুর এবং নন্দীগ্রামে লড়বেন। পরে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ওই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে ৭৩ হাজার ৫০৫ ভোট পেয়েছিলেন। অপরপক্ষে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ পেয়েছিলেন ৪৪,৭৮৬ ভোট। ২৮ হাজারের কাছাকাছি ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করে তৃণমূল। এখন যদি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান তাহলে রেকর্ড ভোটে তিনিই জিতবেন, এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।