সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চাঁদে কুঁড়েঘর বা’নি’য়ে কে বা’স করছে? ধ’রা পড়লো রহস্যময় কুঁড়েঘর, রইলো ছ’বি

চাঁদ বরাবরই আমাদের কাছে রহস্যময় একটি বিষয়! বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় চন্দ্র অভিযান করে চাঁদ নিয়ে বহু গবেষণাও করেন।ভবিষ্যতে চাঁদে আদৌ বসবাস করা সম্ভব কিনা সে নিয়েও চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

তেমনই সম্প্রতি চীনের পাঠানো চিনা রোভার চাঁদে প্রায় ২ ‘বছর ধরে অভিযান চালাচ্ছে, নানান ছবিও তুলেছে। তেমনই আচমকা রহস্যময় একটি কুঁড়েঘর দেখতে পেয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা, একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ভন কারমার ক্রেটারে কাজ চালাচ্ছে চিনা ইউতু ২ রোভার, যার ফলে তাতে চাঁদের অন্যতম বড় ও গভীরতম গর্ত ধরা পড়েছে এই প্রতিবেদনে।

চাঁদে পৌছাবার প্রায় ২ ‘বছর পর সে এই রহস্যময় কুঁড়েঘরের সন্ধান পেয়েছে। রোভারের থেকে ৮০ মিটার দূরত্বে অবস্থান করছে রহস্যময় বস্তুটি। সে প্রতিবেদনটি চীনের একটি চ্যানেলে সম্প্রচারিতও করা হয়, চ্যানেলটি হল আওয়ার স্পেস, যেটি চীনা জাতীয় মহাকাশ প্রশাসনের অনুমোদন প্রাপ্ত একটি চ্যানেল। আচমকাই উত্তরের আকাশে এই রহস্যময় ঘনক টিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।

সেটিকে দেখে মনে হচ্ছে ঠিক কুঁড়ে ঘরের মত, তবে সেটি কে ঘিরে নানান প্রশ্নও তৈরি হয়েছে। আদৌ ক্রাশ লান্ডিংয়ের পর সেটা ভিনগ্রহের বাসিন্দা এই বাড়ি তৈরি করেছেন কিনা বা কোন রোভার আগে এসেছিল কিনা সেখানে। তবে ইউতু ২ রোভার চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল ২০১৮ সালে। 2019 সালের ২রা জানুয়ারি প্রথম তার সফট ল্যান্ডিং হয় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে।

সেখানে তার তিন মাস কাজ করার কথ ছিল কিন্তু তিন মাস কবে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে, এই রোভারের গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘন্টা ২০০ মিটার, তাই এই রোভার চাঁদের সবথেকে বেশি দিন ধরে কাজ চালিয়ে যাওয়া রোভারের তকমাও পেয়ে গিয়েছে। তবে এই রহস্যময় কুঁড়েঘরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান মতাভেদ, আগামী দিনে চাঁদের আরো নতুন তথ্য আমাদের সামনে উপস্থাপিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।