বলিউডের নতুন প্রজন্মের হিরো হিরোইনদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলেন সারা আলি খান।অভিনেত্রী হওয়ার অনেক আগে তার পরিচয় হল তিনি অমৃতা সিং এবং সাইফ আলি খানের কন্যাসন্তান। তাঁদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে, নাম ইব্রাহিম। তিনিও বলিউডে কাজ করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন।
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমারের সাথে অভিনীত ছবি ‘আতরাঙ্গি রে’, আর সেই কারণেই গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার শিরোনামে রয়েছেন নবাব কন্যা সারা। একথা তো সকলেরই জানা যে সারা আলি খানের ধর্ম মুসলিম, তবুও তিনি মাঝেমধ্যেই প্রার্থনা করতে মন্দিরে যান।
কখনও কেদারনাথের ধাম তো কখনো সাই বাবার মন্দিরে, বহুবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা পড়েছে সারার মন্দির দর্শনের ছবি। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়েও গুরুদ্বার বা মন্দিরে যাওয়ার জন্য একাধিকবার উপহাস সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে সারাকে। এমনকি অনেকেই কটাক্ষ করে তাঁকে বলেছেন তাঁর নামের পিছন থেকে ‘আলি’ এবং ‘খান’ বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু সেসব কোনোকিছুতেই কান দেননি সারা।
তাঁর মন্দিরে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে সারা একবার জানিয়েছিলেন, কোনোও আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মের কারণে তিনি মন্দির বা গুরুদ্বারে যান না। তিনি ধর্মের থেকেও শক্তিতে বেশি বিশ্বাস করেন। তাঁর মতে, মন্দির হোক অথবা গুরুদ্বার, প্রত্যেক স্থানে শক্তি বর্তমান, আর সেই শক্তির খোঁজেই তিনি বারবার ছুটে যান সেখানে।
সারা ঘুরতে খুব ভালোবাসেন, তাই কাজের ফাঁকে একটুও সময় নষ্ট না করে তিনি ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন এদিক ওদিক। আর যেখানেই তিনি যান না কেন তিনি সেই জায়গার ধর্মীয় স্থান পরিদর্শনে অবশ্যই যান। গত বছরের অক্টোবরে রাজস্থানের মানুষের আরাধ্য শ্রীকলিঙ্গ নাথজি মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর উদয়পুর বেড়াতে গিয়ে সেখানকার নিমুচ মাতার মন্দির দর্শন করেন সারা।