সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর প্র’স’ঙ্গ তু’লে ধরতেই পাকিস্তানকে ধু’য়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

স্বাধীনতার ৭৫ বছর অতিক্রান্ত। অথচ ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ভূস্বর্গ কাশ্মীর নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে জোরালো হয়ে উঠল কাশ্মীর ইস্যু। এই মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সড়ক হয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। এদিন তিনি রীতিমতো ভারতকে আক্রমণ করেন। তবে চুপ থাকেনি ভারতও। ভুট্টোর কথার জবাব দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ।

এদিন এস জয়শঙ্কর জানান, যে দেশ আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় এবং প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ করে তাদের রাষ্ট্রসঙ্ঘের ক্ষমতা নিয়ে বলার মত কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। প্রসঙ্গত বুধবার ছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা রক্ষা। সেই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে কোন দেশ নিজেদের ও পার্শ্ববর্তী দেশকে রক্ষা করছে তার উপর।

তবে শুধু সন্ত্রাসবাদ নয় জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা যেকোনো সংঘর্ষের সময় তা সুচিন্তিত পরিকল্পনা করে বিচার করা উচিত। এই বৈঠকে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বলে ওঠেন পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে নিরাপত্তা পরিষদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের অঞ্চল ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা গুলি কার্যকর করা এবং সেগুলি শান্তিপূর্ণ সমাধান করা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সার্বজনীন ও ধারাবাহিক আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে একপাক্ষিক হওয়া উচিত নয়।

আরো খবর: এইভাবে বিদ্যুৎ বিল প’রি’শো’ধ করতে পারলে ২০০০ টা’কা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক!

আর সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পাল্টা দেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী। তিনি জানান, আমরা অবশ্যই বহু পাক্ষিকতার সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করছি। নিজস্ব মতামত সকলেরই থাকবে। তবে ক্রমাগত অভিন্নতা এবং এককেন্দ্রিকতার দিকেই অগ্রসর হতে হবে। এটা নিয়ে আর দেরি করা ঠিক হবে না। সে ব্যাপারে সেরা সমাধান খোঁজার রাস্তা বার করছি আমরা। যেকোনো সন্ত্রাসবাদের হুমকিকে সাধারণভাবে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

বিশ্বের কাছে কি কি গ্রহণযোগ্য তা এখন বিচার করার সময় নয় বলেও তিনি জানান। এরপরই তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, যে দেশ ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় বা প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলা চালায়। তারা কোনভাবেই এই কথা বলার অধিকার রাখে না। যা রীতিমতো সাড়া ফেলে দেওয়া মন্তব্য বলেই মতামত বিশেষজ্ঞ মহলের।