শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, আর এই শিক্ষাকে অগ্রসর করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে একত্র হতে হবে। মনে রাখতে হবে শিক্ষাই এমন একটা জিনিস যার দ্বারা সমস্ত স্বপ্ন আগামীতে সত্যি করা সম্ভব। কেবলমাত্র শিক্ষার দ্বারাই সমাজ থেকে খারাপ জিনিস মুছে ফেলা সম্ভব। এটা ভুললে চলবেনা তলোয়ারের থেকে কলমের জোর খুব বেশি। তাই শিক্ষা ছাড়া মানবজাতি অচল। অতীতের সাথে বর্তমানের তুলনা করলে এখন দেখা যাবে, অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষার হার। বিশেষ করে একটা সময় মেয়েদের নিয়ে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল এখন সেটা সময়ের সাথে সাথে পাল্টেছে।
ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে মেয়েরাও এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার দিকে।কিন্তু একজন পড়ুয়াকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য চাই বর্তমান সময়ে প্রচুর অর্থ। বর্তমান সময়ে শিক্ষার খরচ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, নাকানি চুবানি খেতে হচ্ছে অভিবাবকদের। অনেক মা-বাবাই অর্থের কারণে তাদের ছেলেমেয়েদের ঠিকমতো শিক্ষাদান করতে পারছে না, সামান্য ১-২ বছরের কোর্স ফি আকাশ ছোঁয়া। তবে যেমন সমস্যা রয়েছে তেমনি সমস্যা সমাধানও রয়েছে।
এই মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে শিক্ষা লোন,যার দ্বারা পড়ুয়ারা খুব সহজেই নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক এ শিক্ষা লোন দেওয়া হয়, তবে হ্যাঁ বিভিন্ন ব্যাংকের শিক্ষার লোনের সুদের হার ভিন্ন রকমের। কিন্তু তুলনামূলক দেখা যায় পড়াশোনার খাতিরে যে লোন পাওয়া যায়, তার সুদের হার অনেকটাই কম থাকে। দেশে বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে সুদের হার কম বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু স্বপ্ন যদি হয় তাহলে সেটাকে বাস্তবে রূপান্তর করার জন্য এই ধরনের সাহায্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই অর্থের অভাবে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ছেলেদেরকে টক্কর দিচ্ছে মেয়েরা। তাই মেয়েদের শিক্ষার অগ্রগতি করাটা খুবই প্রয়োজন, বর্তমান সময়ে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পড়াশোনার সুযোগ নিয়ে আসছে সরকার। কোনভাবেই যাতে আগ্রহের পরিমাণ কম না হয়,সেই ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য আকর্ষণীয় বিভিন্ন ছাড় নিয়ে আসা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। যার মধ্যে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অন্যতম। এদিকে বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রীদের দেওয়া হবে বিভিন্ন ছাড়। আর সেটা ছাত্র দের তুলনায় ০.৫০% সুদের হার কম রাখা হবে তাদের জন্য।