মহামারী থেকে আমরা কিছুটা হলেও দূরে সরে এসেছি। কিন্তু মহামারীর অন্যান্য ভেরিয়েন্ট যেমন ডেল্টা অমিক্রণ আমাদের আজও নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছে। এই মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের রক্ষা করতে পারে ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, বাঁধাকপি এবং ফুলকপির মতো সবজি।
এই সমস্ত সবজি সবুজ পাতায় এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক উপাদান থাকে যা আপনাকে রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। জন্বর স্কিন চিল্ড্রেন সেন্টারের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে সারাবিশ্বের 60 লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে এই কোভিদ ১৯ এর ফলে।
জানা গেছে শুধুমাত্র আমেরিকায় সর্দি কাশির ফলে প্রতিবছর ১.৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। যদি এই সবজির ব্যবহার আরো বাড়ানো যায় তাহলে এই সবজি থেকে তৈরি করা যেতে পারে রাসায়নিক ওষুধ, যা ব্যবহার করে মানুষকে বাঁচানো যাবে মহামারী থেকে।
আরো পড়ুন: এটি গাছের শিকড় না ঠোঁট? এই ছবিটি স’ঙ্গী’র গো’প’ন ক’থা জানিয়ে দে’বে!
সম্প্রতি কমিউনিকেশন বায়োলজি জার্নালে একটি গবেষণায় জানা গেছে, ক্রুচিফেরৌস সবজিতে সালফোরাফেন থাকে যা একটি ফাইটো কেমিক্যাল। এটি অ্যান্টি ক্যান্সার রূপে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এই সমস্ত উপাদান করোনাভাইরাস কে প্রতিহত করতে ভীষণ ভাবে কাজে লাগে।
Chemical found in leafy greens shown to slow growth of COVID-19 and common cold viruses @CommsBio https://t.co/FTdUwW1TnE
— Medical Xpress (@medical_xpress) March 23, 2022
বিজ্ঞানীরা তাই জনগণের কাছে আবেদন করেছেন, এরপর মানুষ যেন সালফোরাফেন যুক্ত সাপ্লিমেন্ট নিতে ওষুধের দোকানে না যায়। এর সাফল্য ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। মানুষের উপর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা এখনো বাকি।
কিন্তু এই সাপ্লিমেন্ট কোন নিয়ম ছাড়া অনলাইনে এবং বাজারে বিক্রি হচ্ছে যা আমাদের নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। হপকিন্স মেডিসিনের পূর্ববর্তী গবেষণায় জানা গেছে, সালফোরাফেন ক্যান্সার এবং অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধ করে ফেলে খুব সহজে।
এটি একটি বিশেষ প্রক্রিয়া করে কোষের অনুপ্রবেশ রোধ করতে সাহায্য করে। কোন পদার্থ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে তা দেখার জন্য সালফোরাফেন নিয়ে গবেষণা শুরু করা হলো
আরো পড়ুন: দুই শালিক দেখলেই শু’ভ! কিন্ত এক শালিক দেখলেই কেন দিনটি খা’রা’প? কোথা থেকে এ’লো এই ধা’র’ণা?
প্রথম পরীক্ষায় সালফোরাফেনে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল কোষগুলিকে। এরপর করোনা ভাইরাস এবং সাধারণ সর্দি কাশির ভাইরাস রাখা হয় সেখানে। দেখা যায় কোভিদ নাইনটিন বিস্তারের হার 50 শতাংশ কমিয়ে দেয় এই সালফোরাফেন।
যেসব কোষে আগে থেকেই ভাইরাসে সংক্রমিত ছিল, সেখানে সালফোরাফেন রাসায়নিক যোগ করার পর ভাইরাস ছড়ানোর হার 50% কমে যায়। একবার এই রাসায়নিক কোষে প্রবেশ করলে, এটি অবিলম্বে ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য ওষুধ আসার পরও তেমন পদার্থের প্রয়োজন হবে যা আমাদের এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করবে, এমন মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এটি সস্তা নিরাপদ এবং সহজলভ্য। এমনকি বানিজ্যকভাবে রাসায়নিক প্রচুর পরিমাণে রয়েছে তাই এটি ব্যবহার করা সব থেকে বেশি সুবিধাজনক বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।