একদিকে যেখানে সারা বিশ্বে প্রথম সারিতে মানুষকে বাঁচানোর জন্য ব্রত গ্রহণ করেছেন চিকিৎসক এবং নার্স। যাদের অপরিসীম চেষ্টায় আজ গোটা বিশ্বে বহু মানুষ সুস্থ। যাদের প্রতিনিয়ত আমাদের প্রণাম করা উচিত, তাদের যে কিভাবে আজও মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে, কিভাবে আজও তাদের প্রাণ সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা দেখলে সত্যিই লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়।
সম্প্রতি এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে আসামে। সেখানে চিকিৎসককে মারধোর করার ভিডিও ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে যা দেখে নিন্দায় সরব হয়েছেন চিকিৎসা মহল থেকে শুরু করে জনগণ। ঘটনাটি ঘটেছে উদালি মডেল হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক সিয়ুজ কুমার সেনাপতির সঙ্গে। করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক রোগীর। তার পরিবারের লোকজন লাঠি, ঝাটা এবং স্টিলের বাসন পত্র দিয়ে মারধর করেছেন ওই চিকিৎসক কে। দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলে আপনিও আতকে উঠবেন।
Such barbaric attacks on our frontline workers won't be tolerated by our administration. @gpsinghassam @assampolice Ensure that the culprits brought to justice. https://t.co/HwQfbWwYmn
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) June 1, 2021
সূত্রের খবর অনুযায়ী, করোনাই আক্রান্ত হয়ে পিপাল পিপুরি গ্রামের বাসিন্দা গিয়াউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি উদালি মডেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছিলেন। দুপুর দুটো নাগাদ তিনি পরিবারের সদস্যদের জানান যে, রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এরপর কিছুক্ষণ বাদে তিনি পরিবারের মানুষজনের কাছে গিয়ে জানান যে, রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে যে তার মৃত্যু হয়েছে তাও জানান চিকিৎসক।
কিন্তু রোগীর পরিবার তা মানতে একেবারে নারাজ। হাসপাতালে হঠাৎ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। বেগতিক দেখে চিকিৎসক নিজেকে তালা বন্ধ করে দেন একটি ঘরে। কিন্তু রোগীর পরিজনেরা তালা ভেঙ্গে তাকে টেনে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর শুরু করে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ এইভাবে চলতে থাকে। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। আহত চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কামরুদ্দিন সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ২৪ জনকে।