সাধারণত দুটি সম্পূর্ণ অপরিচিত পরিবার, কেউ কাউকে কখনো দেখেনি বা চেনেও না, একদিন হঠাৎ দুটো অচেনা পরিবারের লোকজন কোন এক ব্যাক্তির মাধ্যমে, একে অন্যের বাড়িতে এসে বিয়ে ঠিক করে ফেলে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ এভাবেই হয়। আপনার হবু স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিষয় গুলি লক্ষ্য রাখবেন সেগুলি নীচে আলোচনা করা হল –
১. চোখে-মুখে চালাকি: ইদুর দৌঁড়ে ব্যাস্ত এই পৃথিবীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে চালাক হতেই হবে। তবে অন্যকে ঠকানো একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। চালাক অথবা উপস্থিত বুদ্ধি না থাকলে জীবনের রঙ্গমঞ্চে বারবার পিছিয়ে পড়তে হবে। হবু স্ত্রী চালাক প্রকৃতির হলে তা আপনার জন্যই ভালো।
তবে তিনি যদি অতিচালাক হন, তাহলে আপনার জীবন নরকে পরিণত হতে পারে। তিনি যদি সবসময় আপনার ওপর নিজের আধিপত্য ফলাতে চান,তাহলে এইরকম মেয়ের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
২. একাধিক সম্পর্কে ছিলেন: অনেকেই জমা বদলানোর মত নিজের সঙ্গী বদলান।তাই বিয়ের আগে খোজ নিন আপনার হবু স্ত্রীর আরও কোন প্রেম ঘটিত সম্পর্ক ছিল কিনা। অসংখ্য প্রেম ঘটিত সম্পর্কে যুক্ত থাকা নারীর সঙ্গে সম্পর্কে না যাওয়াই আপনার জন্য ভাল হবে।
আরো খবর: ডি’ভো’র্সে’র জন্য আর ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে না, কি বললো সুপ্রিম কোর্ট?
৩. অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্খা: সবসময় মাটিতে পা রেখেই স্বপ্ন দেখতে হয়।অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্খা একেবারেই ভালো নয়। যারা কাজ না করে শুধু বড়বড় ডায়লগ মেরে চলে তাদের থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল।
৪. মিথ্যের ফুলঝুরি মুখে: প্রয়োজনে টুকটাক মিথ্যে কথা সকলেই বলে থাকেন। বর্তমানে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিথ্যে বলা একেবারেই কাম্য নয়। এইরকম ব্যক্তিদের নিয়ে সবসময় সচেতন থাকুন। এনাদের সঙ্গে ঘর করার কথা ভুলেও মাথায় আনবেন না।
৫. সবসময় নিজের প্রশংসা করা: আজকালকার দিনে নিজের প্রশংসা নিজেকেই করতে হয়। নাহলে নিজেকে আপনি অন্যদের থেকে আলাদা করে প্রমাণ করতে পারবেন না। তবে সবসময় সবজায়গায় নিজের বড়াই করা উচিত নয়।