সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মালদা বিমান’বন্দরের পরি’কাঠামো পরি’দর্শন কর’লেন রাজ্য এবং কেন্দ্রে’র মোট চার সদ’স্যের প্রতি’নিধি দল

মালদা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো পরিদর্শন করলেন রাজ্য এবং কেন্দ্রের মোট চার সদস্যের প্রতিনিধি দল

মালদা, ২০ ডিসেম্বর: সোমবার রাজ্য এবং কেন্দ্রের মোট চার সদস্যের প্রতিনিধি দল মালদা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো পরিদর্শন করেন। এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের পদস্থ কর্তা মানস গোস্বামীর নেতৃত্বে দুইজন এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ধনঞ্জয় তিওয়ারির নেতৃত্বে দুইজন সহ মোট চারজন রাজ্য ও কেন্দ্রের পদস্থ কর্তারা এদিন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে মালদার বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেন। ওই প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দুই অতিরিক্ত জেলা শাসক বৈভব চৌধুরী, শম্পা হাজরা সহ অন্যান্যরা।

কয়েকদিন আগে মালদা জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বিমানবন্দরের ট্র্যক বাড়িয়ে বড় বিমানবন্দর উঠানামার উপযুক্ত করতে হবে। এরপর থেকেই বিমানবন্দরের পরিকাঠামো ঠিক করার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার।

এদিন বিমানবন্দরের রানওয়ে ট্র্যকের তদারকি করেন প্রতিনিধিদলের কর্তারা। পাশাপাশি বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে কোথায় কি ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বিমান বন্দরের এলাকা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরো  কত পরিমাণ জমি প্রয়োজন রয়েছে, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোথায় কি জটিলতা রয়েছে সেইসব বিষয়ে খোঁজ নেন রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের একটি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে ৭২ সিটের বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে মালদা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো খুব দ্রুততার সাথে গড়ে তোলা হবে। যদিও এদিন ওই প্রতিনিধির সদস্যরা সংবাদমাধ্যমের সামনে তেমন কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

মালদা শহরের ঘোড়াপীর সংলগ্ন এলাকায় কয়েক একর জমির ওপর রয়েছে বিমানবন্দরটি । যেখানে বর্তমানে বিমান ওঠা নামার ক্ষেত্রে রানওয়ে ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে । কিন্তু এখনো  জরাজীর্ণ সেখানকার অফিসের ভবনটি। বিমানবন্দরের সীমানা পাঁচিলের জরাজীর্ণ অবস্থা এবং মেইন গেটের সামনে ঝোপ-জঙ্গলে ভরে রয়েছে। এদিন পুরোটাই তদারকি করেন রাজ্য এবং কেন্দ্রের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।

এদিন অতিরিক্ত জেলা শাসক বৈভব চৌধুরী জানিয়েছেন , মালদার বিমানবন্দরে রানওয়ে ট্র্যক তৈরি রয়েছে। কিন্তু এই রানওয়ে ট্র্যকের সীমানা আরো বাড়াতে হবে। প্রাথমিকভাবে ১৯ সিটের যে কোনো বিমান মালদা বিমানবন্দরে ওঠানামার ক্ষেত্রে পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু ৭২ সিটের বিমান ওঠা নামার ক্ষেত্রেই নতুন করে বিমানবন্দরকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন চার সদস্যের প্রতিনিধি দল মালদা বিমানবন্দরের সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন।

বিমানবন্দরের এড়িয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুটা জমির প্রয়োজন রয়েছে। তবে কতটা জমি লাগবে,  তার জন্য কত টাকা খরচ হবে তা পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। তবে কি ধরনের বিমান মালদার বিমানবন্দরে ওঠানামা করবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন।
এদিন কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রতিনিধিদল বিমানবন্দর পরিদর্শনের পর নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে জেলার মানুষ।