সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আপনার কি হৃদরোগের ঝুঁ’কি আছে? বু’ড়ো আঙুল প’রী’ক্ষা করে নিজেই বু’ঝে নিন

হৃদযন্ত্র থেকে যে ধমনীটি পাকস্থলী হয় শরীরের নিম্নে নেমে গেছে, সেদিন ঠিক মাঝখানে থাকে একটি ফোলা অংশ। অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলতে থাকে এবং একসময় ফেটে যেতে পারে। হূদযন্ত্রের সমস্যার অন্যতম কারণ হলো এটি। দ্রুত চিকিৎসা না করালে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয়,‘অ্যাবডোমিনাল এয়রটিক অ্যানিউরিজম’। এই সমস্যা বড় আকার ধারণ করার আগেই নিতে হবে পদক্ষেপ কিন্তু আগে থেকে এই সমস্যাটির পাওয়া যায় না। যখন টের পাওয়া যায়, তখন আর বাঁচানো যায় না রোগীকে। বেশিরভাগ রোগীর মৃত্যু হয় এই অসুখে। কিন্তু কিভাবে আগে থেকে জানা সম্ভব এই রোগের লক্ষণ? সেটি সম্ভব বুড়ো আঙ্গুলের সাধারণ একটি পরীক্ষা দেখে।

সম্প্রতি আমেরিকার জার্নাল অফ কার্ডিয়লজি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গবেষণার মাধ্যমে একটি সহজ পরীক্ষায় তারা বুঝিয়েছেন কিভাবে এই সমস্যা আগে থেকে টের পাওয়া সম্ভব। এই সমস্যা আপনার শরীরে আছে কিনা তা জানার জন্য বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুল তালু বরাবর প্রসারিত করতে হবে। যদি তালুর ভেতর এই আপনার বুড়ো আঙ্গুল থেকে যায় তাহলে উদ্বেগের কোন কারণ নেই। কিন্তু বুড়ো আঙ্গুলের সীমানা অতিক্রম করে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার এই সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে।

যে সমস্ত মানুষেরা এই সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের পেশী এবং হাড়ের সংযোগস্থল গুলি শিথিল হতে আরম্ভ করে। তাই বুড়ো আঙ্গুল ঢুকিয়ে তালু বরাবর তিনি অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়, ব্যথা অথবা কোন অস্বস্তি ছাড়াই। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি আক্রান্ত কিনা এবং তড়িঘড়ি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।

এই প্রসঙ্গে এসএসকেএমের হূদরোগ বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক সরোজ মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, অ্যাবডোমিনাল এয়রটিক অ্যানিউরিজম নিয়ে এই মুহূর্তে সহজভাবে বলা কিছু সম্ভব নয়। তবে তালুর বাইরে যদি বুড়ো আঙ্গুল টেনে বের করে নেওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তি একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। এই সমস্যা থাকলে অনেকে অতিরিক্ত লম্বা হন অথবা অনেকের হাড়ের সংযোগস্থল অতিরিক্ত নমনীয় হয়ে যায়। যদিও এর মানে এই নয় যে, তিনি একেবারে নিশ্চিতভাবে এই রোগে আক্রান্ত। তবে এই রোগের প্রধান কারণ ধূমপান এবং মানসিক চাপ। এই দুটি কমাতে পারলে হৃদ রোগের আশঙ্কা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।