সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভোজপুরী সিনেমার নায়করা কি বাংলা সিনেমার অভিনেতাদের থেকে বে’শি পারিশ্রমিক পা’ন? জানুন আসল স’ত্যি

আর পাঁচটা দেশের মতো আমাদের দেশেও করোনার প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট। সব দেশেরই অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশেষ করে। তেমনই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ও এই মহামারীর ফল ভোগ করেছে। প্রায় ২ বছর বন্ধ ছিল প্রেক্ষাগৃহ। কাজ ছিল না কোনো অভিনেতারই । ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার পর সস্তি পেয়েছে সব দেশ।

আস্তে আস্তে সবটা স্বাভাবিক হতে শুরু হলে সিনেমা প্রেমীরাও তাঁদের প্রিয় সেলিব্রেটিদের ছবি দেখতে হলে যেতে শুরু করেছেন। অন্যান্য সিনেমার মতোই ভোজপুরি সিনেমা ও অনেকের পছন্দের সিনেমা।চলুন দেখে নেওয়া যাক ৭ জন ভোজপুরি অভিনেতার ফিল্ম প্রতি বর্তমান পারিশ্রমিক।

রবি কিষান – রবি কিষাণ এমন একজন অভিনেতা যিনি ভোজপুরি চলচ্চিত্রের প্রোফাইল বাড়াতে সাহায্য করেছেন, তাঁর ডিমান্ড এই ইন্ডাস্ট্রিতে আছে প্রবল। তিনি একটি ছবির জন্য ৫০ লাখ টাকা দাবি করতেন। তাদের পারিশ্রমিক এখন কোটি টাকা হবে।

দীনেশ লাল যাদব – ২০০১ সালে, দীনেশ লাল যাদব ওরফে নিরহুয়ার দুটি সঙ্গীত অ্যালবাম ‘বুধওয়া মে দম বা’ এবং ‘মালাই খায়ে বুধওয়া’ প্রকাশিত হয়েছিল। যা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।নিরহুয়া একটি ভোজপুরি ছবির জন্য ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চার্জ করেন। বর্তমানে আজমগড়ের মানুষ তাঁদের প্রিয় তারকাকে তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নিয়েছে সেখানের সাংসদ তিনি এখন।

মনোজ তিওয়ারি- বিবিসি ২০০৫ সালে জানিয়েছে যে মনোজ তিওয়ারি ভোজপুরি সিনেমার অন্যতম বড় পুরুষ তারকা। শুধু সিনেমাই নয় তাঁর আরো অনেক গুণ আছে। একাধারে তিনি গায়ক ও তিনি একজন রাজনীতিবিদ (বিজেপি) এবং একজন ক্রিকেটপ্রেমীও। মনোজ তিয়ারি প্রতি বছর আনুমানিক ২ কোটি টাকা আয় করেন এবং রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি একটি ফিল্মের জন্য ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা নিতেন।

খেসারি লাল যাদব – খেসারি লাল যাদব ২০১২ সালে ভোজপুরি চলচ্চিত্র ‘সাজন চলে সাসুরাল’-এ আত্মপ্রকাশ করেন। আজকের বিশ্বে, খেসারি সবচেয়ে ব্যয়বহুল অভিনেতাদের মধ্যেও একজন। তাকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। ভোজপুরি ছবির শত্রুঘ্ন সিনহা অভিনেতা খেসারি লাল যাদব। পবন, দীনেশ এবং মনোজ তিওয়ারির মতো খেসারিও একজন কণ্ঠশিল্পী।

পবন সিং- ইনি এমন একজন ভোজপুরি সেলিব্রিটি যিনি একটি ভোজপুরি অ্যালবাম দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, একটি ফিল্মের জন্য ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়৷ পবন সিং তাঁর স্টারডমের কারণে ভোজপুরি সিনেমার সলমান খান নামে পরিচিত।