সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কেকে বলতে কি কমলা কান্তকে বুঝিয়েছেন না’কি কিশোর কুমার? সোশ্যাল মিডিয়ায় এ’সে প্র’শ্ন তুললেন সুদীপ

কে কে বলিউডের একজন সনাম ধণ্য গায়ক, গত মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে স্টেজ পারফরম্যান্স করে, হোটেলে ফিরেই অসুস্থ বোধ করে এবং তাড়াহুড়োর মাধ্যমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনা তার ভক্তদের কাছে মেনে নেওয়া অসম্ভব।

মাত্র ৫৩ বছর বয়সে এভাবে ছেড়ে যাওয়া সত্যিই কষ্টকর। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় তিনি স্টেজ পারফরম্যান্স করার সময় থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করে। তাছাড়া মাথা ও ঘাড় ব্যথাও করে তার, ডাক্তারদের মতে এটা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তের লক্ষণ।

তাই স্টেজ পারফরম্যান্স শেষ করে হোটেলে ফিরে তার হাতে আর একটুও সময় থাকেনা, হঠাৎ করে সবাইকে অবাক করে দিয়ে চোখের জলে ভিজিয়ে তিনি চলে গেলেন। কিন্তু সেদিনই কয়েক ঘণ্টা আগে রূপঙ্কর বাগচীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি বলেন হু ইজ কে কে? এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন ঠিকই কিন্তু, তার এই বলা কথা তাকে ঘিরে বেষ্টন করে থাকবে সারাজীবন।

আরো পড়ুন: মেয়ে ও স্ত্রীর চাকরি নি’য়ে অবশেষে মু’খ খুললেন পরেশ অধিকারী

কারণ কেকে র ভক্তেরা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে, হু ইজ কে কে? তার ভিডিওতে অভিযোগের সুরে শোনা গিয়েছে অনেক কয়েকটি কথা। বাংলা গায়ক-গায়িকাদের কনসার্টে এমন উপচে পড়া ভীড় হয় না কেন? তারাও তো গান পরে তাদের নিয়ে এত কৌতুহল নেই কেন মানুষের? এই ধরনের প্রশ্নই ছিল তার ভিডিওতে।

কিন্তু সেই সব প্রশ্নের পরেই যখন এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে ঠিক কলকাতার বুকেই , তখন সমস্ত কেকে র ভক্তেরা গর্জে উঠেছে রূপঙ্কর বাগচীর বিরুদ্ধে। শুরু হয়েছে তাকে নিয়ে ট্রোল, এমনকি দেওয়া হচ্ছে থ্রেট কল।

অনেকেই রূপঙ্কর বাগচীর গান বয়কট করার কথাও বলেছেন। বিভিন্ন তারকা মুখ খুলেছেন, হয়তো অনেকেই ঘুরিয়ে বললেও রূপঙ্কর বাগচীর মতো শিল্পীর মুখে এমন কথা শুনে অবাকই হয়েছেন ভেতরে ভেতরে। এবার বাংলার আর এক টিভি ও সিনেমার অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় খুঁজলেন রূপঙ্কের বক্তব্যের অর্থ। তিনি বলেন, কেকে কে চেনেন না। এটা হতেই পারে না।

তিনি আরও বলেন, আজকাল রূপঙ্কর অভিনয় করছে। আমার তো মনে হচ্ছে তারা জাতীয় স্তরে কাজ করে। মনোজ বাজপেয়ী,পঙ্কজ ত্রিপাঠী, আশীষ বিদ্যার্থী , তাছাড়া বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যিশু,স্বস্তিকা, পরমব্রত, শাশ্বত এরা সকলেই জাতীয় স্তরে দারুণভাবে কাজ করে চলেছে। আমি একজন সাধারণ মানুষ অল্পবিস্তর কাজ করি। ভয় হচ্ছে জাতীয় স্তরে যারা কাজ করছে , তাদের আবার যেন বলে না দেয়, যে তারা কে?এই ভয়টাই হচ্ছে।