সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কালেক্টর অ’ফি’সে অ’প’মা’ন হ’তে হয়েছিলো বাবাকে! মেয়ে নি’জে কালেক্টর হয়ে দিলেন যো’গ্য জ’বা’ব

কালেক্টর অফিসে বাবা অপমানিত হয়েছিলেন, যোগ্য জবাব দিতে আজ নিজে কালেক্টর এই মেয়ে। শৈশবে তার বাবাকে কালেক্টর অফিসে অত্যাচারিত হতে দেখে মেয়েটি মনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন বড় হয়ে বাবার উপর হওয়া অত্যাচারের বিচার করবেন। রোহিণী ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুবই ভালো ছাত্রী ছিলেন । জীবনের মূলমন্ত্র ছিল উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া ও সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠা লাভ করা। দারিদ্রতা ও চরম প্রতিজ্ঞার জেরে খুব সহজেই সফল হন রোহিণী।

ইউ পি এস সি পাশ করে হয়ে যান আইপিএস অফিসার। রোহিনী মহারাষ্ট্রের সোনাপুরের এক অত্যন্ত গরিব পরিবারের মেয়ে । সোলাপুর এর একটি সরকারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণী পাস করেছিলেন তিনি তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য সলাপুর টাউনে এসে উপস্থিত হন রোহিণী। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র রোহিনী ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। রোহিনীর বাবাকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে বারবার সরকারি দপ্তরে যেতে হত । গরিব পরিবার;তার উপর অর্থকষ্ট ফলে বারবার সরকারি দপ্তরে গেলেও হতাশায় বাড়ি ফিরে আসতে হত তাকে।

একটি স্বাক্ষরের জন্য সরকারি অফিসে দিনের পর-দিন বাবার যাবার এই অক্লান্ত পরিশ্রম চোখের সামনে দেখেছিল রোহিণী। তার বাবার হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে কালেক্টর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গরিব পরিবারের ছোট্ট মেয়েটি। দীর্ঘদিনের মনে গেঁথে রাখা স্বপ্ন অবশেষে সফল পরিণতি পেল। রোহিণী বর্তমানে তামিলনাড়ুর সালেম জেলার প্রথম মহিলা কালেক্টর হিসাবে কাজ শুরু করেছেন।