সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের নি’র্দে’শ আদালতের, ফেরাতে হবে মাইনে পাওয়া টা’কা

মানুষ ঠকিয়ে আর কয়দিন চলবে? এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি নিয়ে এবার সরব হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই কারণেই বর্তমান শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের অবৈধ চাকরি পাওয়া নিয়ে যে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল তার এবার অবসান ঘটল বলে।

কারণ পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর মেয়ের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অবিলম্বে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করতেই হবে। তাছাড়া শুধু কিন্তু চাকরি বাতিল নয় এর সাথে ৪১ মাস থেকে পাওয়া বেতন দুই কিস্তিতে ফিরিয়েও দিতে হবে।

পরেশ অধিকারীর মেয়ে একাদশ ও দ্বাদশ জন্য সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন। এই মামলায় যখন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট, তখনই সবটা জলের মত পরিস্কার হয়ে যায়। এই বিষয় নিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানায়, মনে করা হচ্ছে অঙ্কিতা অধিকারী মাথার ওপরে কিছু ক্ষমতাশালী অদৃশ্য হাত রয়েছে।

আরো পড়ুন: এক কেজি আমের দা’ম মাত্র ৩ টা’কা! দেদার বিক্রি

যার কারণেই তার তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও, খুব সহজেই চাকরি পেয়েছেন। এখানে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে সেটা স্পষ্ট চোখে পড়ছে। তা না হলে কখনই একজন প্রার্থীকে হঠাৎ করে মেধা তালিকার প্রথম স্থানে বসানো যায় না। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পদে শিক্ষক নিয়োগের এস এল এস টিতে অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছে ৬১ । আর সেখানেই মামলা করা ববিতা সরকার পেয়েছেন ৭৭।

তাই এই বিষয় নিয়েই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই নম্বরের ফারাক অনেকটাই। তাছাড়া ববিতা সরকার পেয়েছেন পার্সোনালিটি টেস্টে ৮ নম্বর। কিন্তু সেখানে অঙ্কিতা অধিকারী পার্সোনালিটি টেস্টে বসেই নি।এতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম মেধাতালিকায় আমদানি করা হয়েছে। সেই অদৃশ্য হাত খোঁজার জন্য এখন তদন্তে নেমেছে সিবিআই।এবার সেই তদন্তের উপরে সর্বদা নজর রাখছে কলকাতা হাইকোর্ট।