করোনাভাইরাস কার্যত মানব সভ্যতাকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার প্রভাব যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। একের পর এক নতুন রূপ ধারণ করে মানব সভ্যতার জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে করোনা। গোটা বিশ্বে এখন করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত। ভারত ইতিমধ্যেই 21 জনের শরীরে ভাইরাসের নতুন রূপ ধরা পড়েছে।
এদিকে এই ভাইরাস কার্যত বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। তারা জানাচ্ছেন আগের ডেল্টা প্রজাতির থেকেও ভয়াবহ নতুন এই প্রজাতি। কাজী বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে এই কথা শুনে স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে তাহলে কি ফের লকডাউনের দিকে এগোচ্ছে দেশ? আপাতত সরকার করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে।
সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পুরোপুরি সুরক্ষার জন্য করোনার দুটি টিকা নেওয়া প্রয়োজন। যারা এখনো পর্যন্ত একটি মাত্র ডোজ নিয়েছেন তাদের খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া দরকার। তিনি জানাচ্ছেন এই পর্যন্ত দেশে 15 শতাংশ মানুষ করোনা টিকার একটিও ডোজ পাননি। মানুষকে এই ব্যাপার নিয়ে সচেতন করতে হবে।
করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ অর্থাৎ বুস্টার ডোজ নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন। এই বিষয়টি আপাতত বিজ্ঞানী এবং টেকনিকাল এক্সপার্টদের উপর ছাড়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন করোনার নতুন প্রজাতি আগের থেকে ভয়ঙ্কর। যারা টিকা নিয়েছেন তাঁদেরকে আক্রমণ করছে এই ভাইরাস। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন লকডাউনের থেকেও এই মুহূর্তে বেশি প্রয়োজন সেলফ রেস্ট্রিকশন। উৎসবের মুহুর্তে জীবনযাপনের রাশ টানতে হবে। তবেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা সম্ভব।
