করনা ভাইরাসের টিকার পর এবার বাজারে আসতে চলেছে কোভিডের ওষুধ। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গুলি আপনার চেষ্টা করছে এবার মহামারী প্রতিরোধকারী ওষুধ বাজারে নিয়ে আসার। সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মতোই এবার করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও একইভাবে ওষুধ কিনে খাওয়া যাবে। মার্কিন গবেষকরা এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে শুরু হয়ে গেছে।
মার্কিন সংস্থার মেরেক মলনুপিরাভির নামের একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। রিজব্যাক বায়ো থারপিউটিস্ট, নামে এক সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুরু হয়ে গেছে ওষুধ তৈরি করার কাজ। সারা পৃথিবী জুড়ে শুরু হয়ে গেছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যেই ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।
সংস্থার আশা, শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা সফল হলেই পাওয়া যাবে ছাড়পত্র। ছাড়পত্র পেলেই বছরের শেষে আপৎকালীন ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে এই ওষুধের। জাপানে খুব সম্ভবত এই বছরের শেষের দিকে এই ওষুধের ব্যবহারও শুরু হয়ে যাবে। পিছিয়ে নেই ফাইজারও। ইতিমধ্যেই দুই ধরনের অ্যান্টিভাইরাস ঔষধ নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন তারা। ইনজেকশনের মাধ্যমে এবং খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ওষুধ পাঠানোর কাজ শুরু করেছেন তারা।
এই দুটি ওষুধই সার্সের প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়েছিল ২০০২ সালে। সেই ওষুধকেই এবার মহামারীর চিকিৎসা করতে ব্যবহার করা হবে। তবে যে সমস্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই, তাদের ক্ষেত্রেই এই ঔষধ ব্যবহারের উপযোগী। চলতি বছরের শেষের দিকে ওষুধের ট্রায়ালের ফলাফল জানা গেলে খুব সম্ভবত আগামী বছরের গোড়ার দিক থেকেই এর ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে। জাপানের সংস্থা শিয়াঙ্গু গত জুলাই মাস থেকে শুরু করে দিয়েছিল পিলের প্রথম দফার ট্রায়াল। তবে ট্রায়াল’ শেষে এই ওষুধ বাজারে আস্তে আস্তে অপেক্ষা করতে হবে পরের বছর পর্যন্ত।