সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রাকৃতিক বি’প’র্য’য়ে’র মুখোমুখি হতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী অ’ঞ্চ’ল! স’ত’র্ক’তা জা’রি হাওয়া অফিসের

নিম্নচাপের জেরে বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে টানা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এর তরফ থেকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে, অতি ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায় আগামী দিনে বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের স্কুল বা ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে আসার কাজ চলছে।

বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রশাসনের তরফ থেকে তড়িঘড়ি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকেই জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল, পাথরপ্রতিমা, সাগর এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মাইকের মাধ্যমে এলাকায় সতর্কতার বার্তা প্রচারের কাজ চলছে।

নামখানা থেকে প্রায় হাজারখানেক মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাঁধগুলির উপর নজর রাখছে সেচ দপ্তর। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রিপল, শুকনো খাবারও মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিপাত চলছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে অন্যান্য নদীর মতো হলদি নদীর জলস্তর বেড়েছে। হলদিয়ার টাউনশিপ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে রয়েছে।

এলাকার রাস্তাঘাটগুলি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন। বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। বৃষ্টি যদিও বা কমছে মাঝে মাঝে, তবুও এলাকা জলমগ্ন থেকেই যাচ্ছে। কলকাতাসহ তার আশেপাশের ছয়টি জেলাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য লাল সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণেও বেজায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। যে কারণে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে তাদের।