পশ্চিমবঙ্গ সত্যিই দুর্নীতি দূর্নীতিতে ভরে যাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে কেঁচো খুঁড়তে খুঁড়তে সত্যি কেউটে বেরিয়ে না আসে কোনোদিন বলে সন্দেহ করছে অনেকেই। সদ্য গ্রেফতার হাওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় – এর পরেই বীরভূমের তৃনমূল সাংসদ অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেন সিবিআই গোরু পাচার কাণ্ডের জন্য। আর এর মধ্যেই আবার আরো একজনের নাম জোরালো ইনি আবার অন্যায় ভাবে সমবায় ব্যাংকে নিয়োগের ব্যাবস্থা করে দেন বলে জানা যাচ্ছে। এই ব্যাক্তি হলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, সে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ ও আত্মীয়দের সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগ করেছেন। এমনকী শূন্যপদের প্রায় দ্বিগুণ নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে দায়ের একটি মামলায় অতিরিক্ত হলফনামায় এমনই সব অভিযোগ করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী। সেই অভিযোগে বলা হয় যে, যখন ২০১৯ সালে তমলুক – ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় তখন প্রায় ২০৩৫ জন আবেদন করেন এই পদের জন্য।
অথচ প্রায় ১০০ জনের নাম আবেদনের টাকা দেন নি। তাদের নাম নেই সেই লিস্টে। আর ওই আবেদনকারীদের জায়গা গুলিতে জানা যাচ্ছে যে তৃণমূলের ঘনিষ্ট আত্মীয়দের নিয়োগ করে দেওয়া হয় ওই ব্যাংকের জন্য। এমন ব্যাক্তির নাম রয়েছে যারা আবেদনই করেন নি ওই পোস্টের জন্য।
আরো পড়ুন: Zomato-র ডেলিভারি বয় সে’জে এবার চো’র পা’ক’ড়া’ও করলো পুলিশ! জানুন বি’স্তা’রে
তাদের মধ্যে যেমন একজন হলেন, মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবব্রত দাসের ভাইপো। এছাড়াও, ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপাল মাইতির ভাইপো। ব্যাঙ্কের সিইও প্রণয় চক্রবর্তীর ভাইপো। অরূপ রায় ঘনিষ্ঠ সত্য সামন্তের বোন। ব্যাংকের সচিব কুশল কুলভির ভাইপো। ব্যাঙ্কের আধিকারিক নিমাই অধিকারীর মেয়ে ও ব্যাঙ্কের আধিকারিক তপন কুমার কুলিয়ার ছেলে।
দুর্নীতির পর্যায় এতটাই ছিল যে যেখানে ৫২টি শূন্যপদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল সেটা ১৩৪ এ গিয়ে পৌঁছোয়। এতটাই বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়। আর এই সমস্ত ঘটনায় যুক্ত ছিল সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। এও জানা যায় যে এই নিয়োগ করার জন্য এবং কো অপারেটিভ সার্ভিসকে পাশ কাটিয়ে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রায় দু বার তিনি অনুমতি দেন এই বেআইনিভাবে ব্যাংকে কর্মী নিয়োগের কাজে।