গতবছর থেকেই গালওয়ান উপত্যকা চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতীয় সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে উপত্যকা অঞ্চলে। ভারত এবং চীনের সংঘর্ষের কারণে দুই পক্ষের একাধিক জওয়ান শহীদ হয়েছেন। গতবছরের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভারতের কুড়িজন জওয়ান শহীদ হলেও চীনের সংখ্যাটা ঠিক কত তা জানা যায়নি।
বর্তমানে জানা যাচ্ছে যে ভারত-চীন সীমান্তে চীনের তরফ থেকে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। যতদূর জানা যাচ্ছে, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা এবং দুর্গম পাহাড়ি পরিবেশের সঙ্গে মানাতে না পেরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে চীনের সেনাবাহিনী। চীনা সেনাবাহিনী দুর্গম পাহাড়ি পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত নয়। বিশেষত গালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলে অক্সিজেনের অভাব রয়েছে।
ভারতীয় সেনাদের পক্ষে গালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলে টিকে থাকা তেমন দুষ্কর নয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। তবে চীনারা ভারতীয় ভূখন্ডে অনুপ্রবেশ চালানোর জন্য গালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলে যেভাবে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে তাতে কার্যত তাদের জীবন সংশয় দেখা দিচ্ছে। এতে বেজিংয়ের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
চিনা সেনাদের সুবিধার্থে তাই এবার বিশেষ পোর্টেবল অক্সিজেন সাপ্লাই ডিভাইস পাঠানো হচ্ছে উপত্যকা অঞ্চলে। অতি উচ্চতার কারণে অক্সিজেনের অভাব এবার মিটবে বলেই আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি চীন সীমান্তে হাতিয়ার এবং মিসাইল মোতায়েন করার সঙ্গে সঙ্গে সেনা সংখ্যাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।