সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ব্যাগের ভা’রে চা’পা পড়ে যা’চ্ছে শৈশব, খুদেদের পিঠের ওজন ক’মা’তে ন’য়া গাইডলাইন

ব্যাগের ভারে চাপা পড়ে যাচ্ছে শৈশব। ভারী ভারী ব্যাগ বইতে বইতে শিশুদের যেমন শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হয়, তেমনি তাদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন স্কুলে দশ-বারোটি বই বয়ে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন। শিশুদের মানসিক বিকাশ এইভাবে ব্যাহত হলে মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়বে শিশুরা।

এই বিষয়টি মাথায় রেখে 2020 শিক্ষানীতিতে একটি বিধান করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্যাগের ওজন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগের ওজন তাদের শরীরের ওজনের 10% এর বেশি হওয়া চলবে না। এমনই নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে ওই শিক্ষানীতিতে। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে সমস্ত স্কুলকে এই নিয়ম মেনে চলার আবেদন করা হয়েছে।

নতুন শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনওরকম হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে না। ক্লাস 3 থেকে 4 পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে মাত্র 2 ঘন্টা হোম ওয়ার্ক দেওয়া যেতে পারে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন সর্বোচ্চ 1 ঘন্টা অর্থাৎ সপ্তাহে 5 থেকে 6 ঘন্টা পর্যন্ত হোম ওয়ার্ক দেওয়া যেতে পারে।

মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা এবং সপ্তাহে 10 থেকে 12 ঘণ্টা হোম ওয়ার্ক দেওয়া যাবে। শিক্ষা মন্ত্র কোন স্তরের শিক্ষার্থীদের ব্যাগের বোঝা কমানোর বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যাগের ওজনের কারণে শিশুদের বিরক্তি সৃষ্টি হয়। তাদের উচ্চতা বাড়েনা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ হয় না। তারা স্কুলে যেতে চায়না।