পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের এখন অবস্থা বেশ শোচনীয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ ও ইডি কেউই ছাড়ছে না যত বড়ো মাপেরই হাইপ্রোফাইল নেতা হোক না কেন। আয়কর নিয়ে কারচুপি থেকে শুরু করে বেনামী সম্পত্তি যার যা কিছু হদিস পাচ্ছেন সোজা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কে ধরেছেন এবার বীরভূমের তৃনমূল সাংসদ অনুব্রত মণ্ডলকে ধরেছেন সিবিআই। তাঁকে গোরু পাচার কাণ্ডের জন্য ধরা হয়েছে। এছাড়াও অনেক সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো এক্সপেকটেড নয়।
জানা যাচ্ছে বোলপুর আবার যান সিবিআই- এর দল আরো কিছু তল্লাশি করতে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, এবার বোলপুরে জমির রেজিস্ট্রি অফিসে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আসলে বিভিন্ন জায়গায় অনুব্রত মণ্ডলের যে জমির হদিশ মিলেছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতেই মঙ্গলবার সকালে সিবিআই গোয়েন্দারা জমির রেজিস্ট্রি অফিসে হানা দেয়। অফিস খোলার আগেই পৌঁছন তারা। এবং অফিস খোলার সাথে সাথেই তারা ঢোকেন ওই অফিসে।
অফিসের যেখানে দলিল সহ বাড়ি-জমির কাগজপত্র সার্চিং করা হয়, একেবারে সেই দফতরেই যান দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল। শুধু অনুব্রত মণ্ডলই নয় তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু আত্মীয় স্বজনের নামেও জমি কেনার রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত তথ্য ও সংগ্রহ করতে এসেছেন তাঁরা। কবে জমি কেনা হয়েছে , কবে রেজিস্ট্রি হয়েছে সব কিছুই খতিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা বলে জানা গিয়েছে।
আরো পড়ুন: নেপাল থেকে চীনকে দূ’রে সরিয়ে দিতে ব’ড়ো প’দ’ক্ষে’প ভারতের, বি’রা’ট সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথমে গ্রেফতার হাওয়া অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বাড়ি থেকে যা নথিপত্র বা দলিল যা পাওয়া গিয়েছিল সেটার পরেও আবারও সেখানে যায় সিবিআই। এবার গিয়েও আরো অনেক তথ্য পায়। আর সেখান থেকেই তাদের মনে হচ্ছে শুধু সায়গল বা অনুব্রত মণ্ডলই নয় অনুব্রত মণ্ডলের বেশ কিছু আত্মীয়ও এসব জড়িত থাকতে পারে তাই তাদের জমি জমা নিয়ে যা যা তথ্য জানা দরকার সব কিছুই জানতে মঙ্গলবার যান সিবিআই -এর দল বোলপুর।