চারিদিকে চলছে বিয়ের মরসুম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক এখন নিজেদের বিয়ের ছবি ভাইরাল করতে তুলছেন সকলেই এবং তার সাথে নিজেদের হানিমুনের ছবিও তুলে ধরছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে। অনেকেরই মালদ্বীপে হানিমুন করবার স্বপ্ন থেকেই থাকে, আজ সেই স্বপ্ন সার্থক করে তুলব আমরা। এমন কিছু জায়গা নিয়ে আলোচনা করব যেগুলি আপনাকে বিদেশের স্বাদ দিতে পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই হানিমুন ডেস্টিনেশন এর এক ঝলক।
আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ : এই জায়গাটি নব দম্পতির মনে মালদ্বীপের হানিমুনের অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে পারে কারণ এখানকার পরিবেশ মনোমুগ্ধকর এবং স্বল্প বাজেটে হানিমুন ডেস্টিনেশন প্ল্যান করা যেতেই পারে। এখানে রয়েছে নানারকম বিলাসবহুল সামার স্যান্ড বিচ রিসোর্ট।
হ্যাভলক আইল্যান্ড : এটি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেরই একটি আইল্যান্ড। এখানে পৌঁছতে গেলে পোর্ট ব্লেয়ার বিমানবন্দর থেকে ক্রুজেই করে সহজে পৌঁছানো যাবে এই আইল্যান্ডে। এখানকার পরিবেশের সৌন্দর্য মনকে দেবে শান্তি এবং কম বাজেটের হানিমুন প্ল্যান করার আদর্শ জায়গা।
তেহরি : এদিকে বলা হয় উত্তরাখণ্ডের মিনি মালদ্বীপ। দেরাদুন বিমানবন্দর থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তেহরি লেক রির্সট। যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন মালদ্বীপের মতনই ভাসমান কুঁড়েঘর, একেবারে খাঁটি দেশি কুঁড়েঘর। তবে এটি রয়েছে তেহরির লেকের ওই রিসর্ট যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৫০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। যেখানকার মনোরম পরিবেশ নব দম্পতিদের দেবে মালদ্বীপের অনুভূতি।
কোচির মিনি মালদ্বীপ : যেখানে পৌঁছাতে গেলে কোচি বিমানবন্দর থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে পৌঁছে যাওয়া যায় এই মিনিমাল রিসোর্টৈ। পৌঁছে যেতে সময় লাগে মাত্র দেড় ঘন্টা। এই রিসোর্টটি একটি ভাসমান রিসোর্ট যা কুম্বলাঙ্গি গ্রামের কাছে অবস্থিত। যাকে বলা যায় এশিয়ার প্রথম পরিবেশবান্ধব আন্ডারওয়াটার রিসর্ট। যা দেখলে এক নিমেষে মালদ্বীপের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এই চোখের সামনে ভেসে উঠবে।।
তাই আজি নিজের হানিমুন ডেসটিনেশন প্ল্যান করে ফেলুন যাতে নিজেদের হানিমুন হয়ে উঠতে পারে পারফেক্ট এবং মধুর।