সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ক্যালকাটা সা’ই’ক্লো’ন, বাংলার বুকে মৃ’ত্যু ৬০ হাজার মানুষের, জানুন বি’শ’দে

আমাদের জীবনে যা কিছু আমাদের হাতে নেই তা আমরা চাইলেও রুখতে পারি না। কিন্তু তবুও চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখি না আমরা। যেমন – যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আমাদের সাজানো গোছানো গ্রাম থেকে শহরকে এক নিমিষে লন্ডভন্ড করে দেয়।
বর্তমানে প্রযুক্তি বিদ্যা অনেক উন্নত হয়েছে।

আগাম সতর্ক বার্তা আবহাওয়া দপ্তর থেকে দিয়ে দেওয়া হয় যাতে সাধারণ মানুষ সাবধান হতে পারে। ক্ষয় ক্ষতি যতোটা পারা যায় রোধ করতে পারেন। বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকা গুলোয় সরকারের তরফ থেকে মাইকিং করা হয়। জনসাধারণকে বিপদমুক্ত জায়গায় আশ্রয় দেওয়া হয়। ফলে আগের তুলনায় এখন অনেক মানুষকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়।

সমুদ্রে মৎস্যজীবিদের যেতে আগে থেকেই নিষেধ করা হয়। কিন্তু কয়েক দশক আগে চিত্রটা ঠিক এর উল্টো ছিল। তখন এত উন্নত প্রযুক্তি ছিলনা। বেশিরভাগ মানুষ বুঝতেই পারতো না যে একটা বিশাল ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে। ফলে হটাৎ আসা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যেমন বাড়ি ঘর ভেঙে যেত তেমন মানুষেরও প্রাণ যেত অনেক।

আরো পড়ুন: রাজু শ্রীবাস্তবের পর আ’রো এক কমেডিয়ানের মৃ’ত্যু, শো’কে’র ছা’য়া টেলিভিশন জ’গ’তে

ঠিক তেমনই একটি বিধ্বংসী ঝড় ছিল ‘ কালকাটা সাইক্লোন’। এই বিধ্বংসী ঝড় টি এসেছিল ৫ ই অক্টোবর ১৮৬৪ সালে। গোটা কলকাতাকে তছনছ করে দিয়েছিল এই ঝড়। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের প্রাণ যায় এই ঝড়ের প্রভাবে। ক্ষয় ক্ষতি হয় তারও বেশি। জানা যায় দক্ষিণ হুগলি নদী পেরিয়ে ঢুকেছিল এই ঝড়। এতটাই তীব্রতা ছিল এই ঝড়ের যে প্লাবিত হয়েছিল হুগলি নদী।

বহু মানুষের প্রাণ শুধু জলে ডুবেই চলে যায়। একেক টা এলাকা পুরো ডুবে গিয়েছিলো। বহু মানুষ এই দুর্যোগের ফলে অসুস্থ হয়ে থাকতে থাকতে মারা যায়। গঙ্গার মধ্যেও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছিল যথেষ্ট। এতটাই বিধ্বংসী ছিল এই ঝড়। কলকাতা শহরের ওপর আসা এরকম বিপর্যয়ের কথা অনেকেই জানেন না।

কিন্তু আজকের এই সাজানো গোছানো তিলোত্তমা সেই সময় একটা ভেঙে চুরে যাওয়া শহরে পরিণত হয়েছিল। তবে এখন অনেকটাই ক্ষয়ক্ষতি থেকে প্রতিটা শহরকেই বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। আগাম নানা রকমের সাবধানতা অবলম্বন করে প্রাণে মানুষ গুলোকে বাঁচাতে পারে নিরপত্তা বাহিনীরা।