করোনা শুরু হওয়ার পরে ২০২০ সালের ৩০ মার্চ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই করোনার কারণে বন্ধ ছিল ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়ার কাজ। প্রায় দু’বছর পরে সেই ট্যুরিস্ট ভিসায় নিষেধাজ্ঞা উঠল। ফলে এখন বাংলাদেশের লোকজন সড়কপথেও ভারতে আসতে পারবেন।
ওপার বাংলার পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আসার ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখান দিয়ে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী রুটে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তবে একথাও জানানো হয়েছে যে ট্যুরিস্ট ভিসায় যদি বাংলাবান্ধার উল্লেখ থাকে তবেই সেখান দিয়ে যাতায়াত করা যাবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরেই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ওই ভিসায় ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশ পেয়েছেন তাঁরা।
আরো পড়ুন: এটি বিশ্বের সবথেকে ছো’ট এসি! সহজেই বাড়িতে ইন্সটল করতে পারবেন, দা’ম ৩৯৯ টা’কা মা’ত্র
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বন্দর ব্যবহার করে ৫০ জন ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাদের মধ্যে ৪৩ জন ভারতীয় এবং ৭ জন নেপালের নাগরিক। আর ৩৫ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন ভারতীয় এবং ৪ জন নেপালের নাগরিক।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার কারণে ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকলেও শর্তসাপেক্ষে ভারত ও নেপালের পড়ুয়ারা এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতে পারতেন।
কিন্তু কোনও বাংলাদেশি এই বন্দর দিয়ে ভারতে যেতে পারতেন না। পরে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় স্টেজে সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেক বেড়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারের তরফে।
আরো পড়ুন: শিক্ষক নি’য়ো’গে লাগাম ছাড়া দু’র্নী’তি’র জন্য পার্থকে ক’টা’ক্ষ কুনাল ঘোষের
পরবর্তী ক্ষেত্রে এই বন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ভিসা ও চিকিৎসা ভিসা ধীরে ধীরে শিথিল করা হয়। কিন্তু ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত একেবারে বন্ধ ছিল।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মহম্মদ ইউসুফ আলী এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সেই সাথে দুই দেশের মধ্যে ফের ট্রেন চলাচলও শুরু করা হচ্ছে বলে খবর।
আর এরপর বেনাপোল সীমান্ত দিয়েও সড়কপথে যাতায়াত শুরু হবে বলেও জানা গিয়েছে। তাই বাংলাদেশের লোকজনদের জন্য আসতে চলেছে আরও অনেক সুখবর।