কয়েকদিন আগে বীরভূম জেলার তৃণমূল সাংসদ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিয়াই। তাঁকে গোরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন সে জেলে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন। তাঁকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর এই ঘটনা নিয়েই সরব হন তৃণমূল প্রধান দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি বলেন ‘বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে কেষ্টকে।’ তাঁর মতে অনুব্রত কিছু করেন নি তাঁকে জোর করেই আটকে রাখা হয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, ”কেষ্টকে জেল বন্দি করে কী ভেবেছেন বীরভূম জিতে নেবেন।
প্রতি ভোটে কেষ্টকে নজরবন্দি করে রাখে। এবার ভেবেছে জেলবন্দি করে দুটো লোকসভা আসন দখল করবে। আমি বলব ভুল ভাবছেন তাহলে। বীরভূম কখনও হারেনি, বীরভূম হারতে শেখেনি।” বিরোধী দল গুলোকেও খোঁচা দিতে ভোলেন নি। তিনি বলেছেন তৃণমূলের দুজনকে আটকে রেখে ওই দুটি জায়গা জিতে যাবে ভাবল খুব ভুল করছেন। বীরভূম বিধায়কদের দার করিয়ে তিনি বলেন অনুব্রত না ফেরা অবধি আরো জোরদার লড়াই করতে হবে।
আর কেষ্ট ছাড়া পেলে তাকে বীরের মতো সন্মান দিয়ে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও তিনি ওই সভাতেই জানান, ”তৃণমূলের কয়েকজন স্ট্রং নেতাদের ধরে রেখে ভাবছেন তৃণমূল ভয় পেয়ে যাবে। রোজ সকালে উঠে দাঁত মেজে ইডি বেরিয়ে পড়ছে। ”তাঁর দলের এরকম একজন হেভি ওয়েট নেতার গ্রেফতারির জন্য তিনি কতটা বিরক্ত তা তাঁর কথার মধ্যেই বোঝা যায়। তিনি আফসোস করে নানা কথা বলেন ভরা সভাতেই। জানান অনুব্রত মণ্ডলের নানা সমস্যার কথাও।
আরো পড়ুন: রজনীকান্ত-কে দেখেই পা’য়ে হা’ত দিয়ে প্র’ণা’ম ঐশ্বর্যর, সকলের মুখেই বচ্চন বধূর প্রশংসা
তিনি বলেন, “কেষ্টর মতো এত সাহায্যকারী ছেলে খুব কম দেখেছি। কী করেছিল কেষ্ট? কেষ্টকে কেন গ্রেফতার করা হল? যতবার নির্বাচন হয়েছে ততবার ওকে ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। সেদিন তো ও বাইরেই বের হতে পারেনি। ছেলেটা গত দু’বছর যে কষ্ট পেয়েছে আমি জানি। ওর বউ ক্যানসারে মারা গিয়েছে। ওর কষ্ট শুধু আমি জানি।
প্রতিদিন কলকাতা আর বোলপুর করত। এমনকী, গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ওর বউ হাসপাতালে ভর্তি। অপারেশন হচ্ছে। আমাকে একদিন কেষ্ট বলল, ‘দিদি জানো তো তোমার বউমা বলছে আমাকে দেখতে হবে না, যাও দলের কাজ করো’।” তাই ওই নেতাজি ইনডোরের ভরা সভায় গোটা তৃণমূল দলকে বলেন কেষ্ট ফিরলে তাকে অভ্যর্থনার আয়োজন যেনো বীরের মতো করা হয়।