মাঝে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা,তাহলেই এই বছরের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি পাওয়া না পাওয়া সুখ দুঃখ সমস্ত কিছু নিয়ে পাড়ি দেব নতুন বছরে। নতুন বছরে প্রথম দিন কিভাবে কাটাবেন? এই নিয়ে অনেকের মধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। কিন্তু নতুন বছরের শুধুমাত্র প্রথম দিন? না। আমাদের পরিকল্পনা কিভাবে ভালো কাটানো যায় সারা বছর। তাহলে এবার সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করা যাক। আমাদের প্রত্যেক বাড়িতেই এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা কিনা সংসারের বোঝা কাঁধে তুলে নিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের মা বাবা, ঠাকুরদা ঠাকুরমা।
কিন্তু এটা কি জানেন, যদি আপনি বাড়ির গিন্নি বা কর্তা হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার প্রথম দায়িত্ব কি? নিজেকে ভালো রাখা সুস্থ রাখা, শুনে অবাক হচ্ছেন? না অবাক হওয়ার মত কিছুই নেই। কারণ আপনি যখন অন্যদের ভালো চাইবেন, তার আগে আপনার নিজেকে ভালো থাকতে হবে। তাহলেই আপনি সবাইকে ভালো রাখতে সুখে রাখতে পারবেন। তাই নতুন বছরের নিজেকে সময় দিন, নিজের পছন্দ মত কাজ করুন দূরে কোথাও ঘুরতে যান। দেখবেন আপনার মন কতটা প্রফুল্লিত হয়ে ওঠে।
অনেক পরিবারে এমন রয়েছে যারা কিনা ঘরে এবং বাইরে দুই সমান ভাবে সামলে চলছে। কিন্তু এতে তাদের খাদ্যাভ্যাসে দারুন পরিবর্তন ঘটছে। হয়তো বাধ্য হয়েই বাইরে অনিয়মিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করছে। তাই নতুন বছরে চেষ্টা করুন ভালো খেতে সুস্থ খেতে ও নিয়মিত খেতে। আমাদের অজানা দৈনন্দিনের নিয়ম রুটিন আমাদের শরীরকে অনেকটাই ভেঙে দেয়। যার কারণে শরীরচর্চাটা খুবই জরুরী, নতুন বছরে শরীর চর্চা করুন।
আমাদের অসুখ-বিসুখ যেমন শরীরের বাহ্যিক একটা প্রকাশ, কিন্তু মানুষের মনের ভিতরে যে অসুখ সেটা কিন্তু অদৃশ্য। তাই নিজের ভেতর কেউ সুস্থ রাখতে পারলে বাইরেটাও সহজেই সুস্থ হয়ে ওঠে। তাই মনের ভিতর চাপা দুঃখ কষ্ট চেপে রাখবেননা প্রকাশ করুন। আমরা অনেকেই অজান্তে ইচ্ছা করি অতিরিক্ত খরচ করে থাকি। নতুন বছরে এই খরচের লাগাম টানুন। একটা কিছু দেখলেই হঠাৎ কিনতে ইচ্ছে করছে,কিন্তু সত্যিই কি সেটা আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস? সেটা নিজেকে প্রশ্ন করুন।হয়তো আপনি সেই মুহূর্তে জিনিসটা কিনতে না পেয়ে নিজেকে দুঃখ দিচ্ছেন ঠিকই কিন্তু আগামী সময়ে, এই সিদ্ধান্ত আপনাকে অনেকটাই লাভবান করে তুলবে।