শ্রীনগরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা আনিস-উল-ইসলামকে বরখাস্ত করেছে শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক প্রশাসন কেন্দ্র। আনিস বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানির নাতি। সরকারি চাকরি করেও জঙ্গিদের সমর্থনের জন্য গিলানির নাতি সহ দুজনকে বরখাস্ত করল প্রশাসন। এই নির্দেশ উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহার নির্দেশে প্রশাসনিক বিভাগ শনিবার জারি করেছে।
আনিসের গতিবিধির উপর উপলব্ধ সূচনা এবং তথ্যের উপর ভিতি করে তাঁকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ডোডা জেলায় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত থাকা ফারুক আহমেদ ভটকেও সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই দুজনের গতিবিধি রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য বিপদ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিচ্ছিনতাবাদী নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানির মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সৈয়দ আলী শাহ গিলানি ফোর্স’ নামের জঙ্গি সংগঠন আর নতুন জঙ্গিদের ভর্তির পোস্টার ভাইরাল হয়েছিল। পোস্টারের ছবিতে জঙ্গির নাম বিলাল আহমেদ ভট লেখা ছিল, বিলাল আহমেদ শোপিয়ানের বাসিন্দা।
সৈয়দ আলী শাহ গিলানির ফোর্সের মুখপাত্র গাজি খান বয়ান জারি করে জানিয়েছেন, তাঁরা গিলানির মৃত্যুর বদলা নেবে। এমনকি সে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাস নিয়েও হুঁশিয়ারি জারি করেছিল। এটাই প্রথম ছিল যে, কোনও জঙ্গি সংগঠন হিন্দিতে তাঁদের হুঁশিয়ারি আর পোস্টার জারি করেছিল। যদিও এমন কোনও জঙ্গি সংগঠন আছে কী না এটা নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে পরিস্কার করা হয়নি।