সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কর্ণের সঙ্গে প্রথমে বি’য়ে’তে রা’জি ছিলেন না বং লেডি বিপাশা বসুর পরিবার, পরে কেন সবাই মত দিলেন?

বলিউডের পর্দায় বহু বছর ধরে রাজ করছে বঙ্গতনয়া বিপাশা বসু। অসংখ্য হিন্দি মুভি তাঁর উপস্থিতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই বিখ্যাত বলিউড নায়িকা বিপাশার সাথে ২০১৬ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন জনপ্রিয় বলি অভিনেতা কর্ণ সিংহ গ্রোভার। অবাঙালি ছেলের বাঙালি মেয়ের সাথে বিয়ে হওয়ার এক আলাদাই আনন্দ কারণ এ দেশের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় সামিল হতে পারেন তাঁরা। কর্ণের ক্ষেত্রেও এ ছবি ব্যতিক্রম নয়।

প্রত্যেক বছর দুর্গাপূজায় বাঙালি শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন কর্ণ। আর সেই ছবির সাক্ষী তো তাঁদের অনুরাগীরাই। এই তারকা দম্পতি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ অ্যাক্টিভ। প্রতিদিনের নিজেদের রোম্যান্সের ছবি তাঁরা ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন। তবে এখন যেমন এই সুখী পরিবারের চিত্র দেখছেন তেমনটা কিন্তু শুরুতে ছিল না। তাঁদের প্রেমের পথে এসেছে অনেক বাধা।

কারণ বিপাশার পরিবার তাদের মেয়ের সঙ্গে কর্ণের বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে তাদের দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণও আছে। কর্ণের বৈবাহিক ইতিহাস তো মোটেই ভালো নয়। কর্ণের আগের একটি নয়, বরং দু-দু’টি বিয়ে সফল হয়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিপাশার কথায় এই বক্তব্যই উঠে এসেছে।

আরো পড়ুন: পেট্রোল ও ডিজেলের দা’ম পুনরায় বাড়তে চলেছে শীঘ্রই! কবে থেকে দা’ম বৃ’দ্ধি হ’বে জানুন

২০০৮ সালে অভিনত্রী শ্রদ্ধা নিগমকে বিয়ে করেন কর্ণ। ১০ মাস পরে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পরে জেনিফার উইঙ্গেটের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও দু’বছর কাটতে না কাটতেই সেই বিয়েও ভেঙে যায়। শেষে ‘অ্যালোন’ ছবিতে যখন এই তারকা দম্পতি জুটি বেঁধেকাজ করলেন তখন থেকেই তাদের আলাপ। তারপর ধীরে ধীরে সেই পরিচিতি গড়ায় প্রেমের দিকে। শেষমেষ ২০১৬ সালে চারহাত এক হয়।

এ প্রসঙ্গে বিপাশা আরও বলেন, তাঁর বাবা হিরক বসু এবং মা মমতা বসু তাঁদের বিয়েতে একেবারেই রাজি ছিলেন না। কিন্তু তিনি অনেক বোঝানোর পর তাঁর বাবা-মা রাজি হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, প্রেমের সম্পর্কের সঙ্গে বিয়ের কি আদৌ কোনো পার্থক্য আছে! তিনি নিজেও একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কর্ণের সঙ্গে তাঁর একটিই পার্থক্য – কর্ণ শুধু আইনি কাগজে সই করেছেন। আর তিনি করেননি। বর্তমানে বিপাশার বাবা এবং কর্ণ একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। তাই বলা যায় তাঁরা এখন সুখী পরিবার।