সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ব্ল্যাক মাম্বা মানেই এক ছো’ব’লে ছ’বি! জানুন বিশ্বের সবচেয়ে বি’ষ’ধ’র সাপ সম্পর্কে অজানা ক’থা

সাপ মানেই এককথায় বাপরে বাপ! তাই সাপের সঙ্গে ছেলেখেলা নৈব নৈব চ। সাপকে ভয় পায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আর যদি সেই সাপের নাম হয় ব্ল্যাক মাম্বা, তাহলে তো হাত-পা একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার জোগাড়।

কারণ ব্ল্যাক মাম্বা পৃথিবীর সবথেকে বিষাক্ত সাপের তালিকায় প্রথম পাঁচ এর মধ্যে রয়েছে। এই সাপটির গতি, বিষের তীব্রতা, শিকার করার পদ্ধতি অন্যান্যদের তুলনায় অনেক আলাদা। এই সাপটি কোনো মানুষকে কামড়ালে তার বাঁচার আশা একেবারেই থাকে না।

পৃথিবীতে মোট ৩,৬০০ প্রজাতির সাপের ৩৭৫ প্রজাতির সাপ বিষাক্ত হয়। আর তাদের মধ্যে ব্ল্যাক মাম্বা হল অন্যতম। আফ্রিকার জঙ্গলে পাওয়া এই সাপ গুলি সেখানকার মানুষের সাপের কামড়ে মৃত্যুর জন্য বেশি দায়ী। এরা গাছের ডালে, কুঠুরিতে ও পাথরের ভাজ গুলিতে থাকতে বেশি পছন্দ করে।

আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই সাপগুলি অন্যান্য প্রজাতির থেকে বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়। এদের অতিরিক্ত গতি, আক্রমণাত্মক স্বভাব এদেরকে আরও বেশি মারাত্মক করে তোলে। এরা এদের শিকারকে তাড়া করে এবং মেরে ফেলে। এদের বিষ অতিরিক্ত মাত্রায় বিষাক্ত হওয়ায় এদের হাত থেকে কোন শিকারই বেঁচে ফিরতে পারে না।

আরো পড়ুন: লাল শাড়িতে একদম লালপরী, প্রজ্ঞার নতুন ছ’বি দে’খে কু’পো’কা’ত পুরুষেরা

ব্ল্যাক মাম্বা উপ সাহারান আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে থাকে। ইরিত্রিয়া থেকে শুরু করে ক্যামেরুন, কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা, বুরুন্দি, রুয়ান্ডা, মোজাম্বিক, মালাভি, সোয়াজিল্যান্ড ও পশ্চিম আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এদের অবস্থান।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বাস করা এই সাপটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে আক্রমনাত্মক সাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সাপটি লম্বায় প্রায় ১৪ ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। আফ্রিকা যত প্রজাতির সাপ দেখা যায় তাদের মধ্যে সবথেকে লম্বা ও বিষাক্ত সাপ এটি।

এই সাপটি ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। যা অন্য কোন সাপের গতির তুলনায় অনেক বেশি। আর তাই এটিকে সবচেয়ে দ্রুতগতির বিষাক্ত সাপ বলা হয়। এই গতির কারণে এরা শিকারকে পিছন থেকে ধাওয়া করে ধরতে পারে।

শরীরের রঙ কালো বলে এদের নাম ব্ল্যাক মাম্বা তা কিন্তু নয়। এর মুখের ভেতরে কালো রঙের জন্য এদের এরকম নামকরণ। যখন এরা তাদের শিকার ধরার জন্য মুখ খোলে, তখন এদের কালো মুখটি দেখা যায় বলেই এমন নামকরণ।

এই সাপ অন্যান্য যে কোনো সাপের তুলনায় আকর্ষণীয়। এরা নিজের দেহের থেকে চার গুণ বড় প্রাণী খেতে সক্ষম। আক্রমণের সময় এরা দেহের ৪০ শতাংশ এর বেশী উপরের দিকে সোজা দাঁড়াতে পারে এদের লেজের ওপর ভর করে।

আরো পড়ুন: নাগা চৈতন্যের আ’গে এই অভিনেতাকে বি’য়ে করতে চেয়েছিলেন সামান্থা! তবে জুটেছিলো প্র’তা’র’ণা

যে কারণে এদের দ্বারা আক্রমণ করা মানুষদের দেহে কামড়ের দাগ বেশিরভাগই উপরের দিকে হয়। এরা প্রজনন এর সময় প্রায় ৬ থেকে ২৫ টি ডিম দিয়ে থাকে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো কথিত আছে, এরা ডিম দেওয়ার পরে দ্বিতীয়বার কখনো তাদের ডিম গুলির দিকে ঘুরে তাকায় না।

এই সাপটির শিকার করার পদ্ধতিও আলাদা। বিপদের সময় ১০ থেকে ১২ বার বিষ নির্গত করে। এটা নিউরোটক্সিন বিষ মানবদেহে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ঢেলে দেয়। এই বিষ এতটাই বিষাক্ত যে এর এক ফোঁটা একটি মানুষকে মেরে ফেলতে সক্ষম। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে এর বিষের ওষুধ বের হলেও পূর্বে এর কামড়ে মৃত্যু অনিবার্য ছিল।

যদিও বা কেউ বেঁচেও যায় তবে এর বিষের প্রভাবে শরীরে প্যারালাইসিস হয়ে যায়। এরা যখন শিকার করে তখন সেই প্রাণীর দেহে বিষ ঢেলে দেয় এবং ছেড়ে দেয়। তারা তাদের শিকারকে ততক্ষণ পিছু করতে থাকে যতক্ষণ না এরা মারা যায়। তারপরে যখন এদের বিষের প্রভাব দেখা দিতে থাকে শিকারের শরীরে, তখন এরা সেটিকে খেয়ে ফেলে।