সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তৃণমূলে ফি’র’তে চে’য়ে বীরভূমে মাইকিং বিজেপি কর্মীদের

বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল এর আগে বিজেপি এবং তৃণমূল এর অবস্থান যা ছিল, ফলাফলের পর অবস্থান যেন একেবারে পাল্টে গেছে। তৃণমূল ছেড়ে একের পর এক নেতা নেত্রীরা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। তৃণমূলে আসার জন্য রীতিমতো হাহুতাশ করছেন বহু বিজেপি নেতা নেত্রী। বিজেপির করুণ অবস্থা দেখে নিজেদের ভুল বুঝতে পারছেন তারা। অনেকেই নিজের জায়গায় আরো একবার প্রতিষ্ঠিত হতে চাইছেন। তবে এবার তৃণমূলের ফিরে আসার জন্য একটি মজাদার পন্থা অবলম্বন করলেন বীরভূমের বিপ্রতিকুরির একজন সমর্থক। রীতিমতো মাইকিং করে তারা তৃণমূলে ফেরার জন্য আবেদন জানালেন।

মঙ্গলবার বেলার দিকে লাভপুরের বিপ্রতিকুরি গ্রামে পা রাখতেই দেখতে পাওয়া গেল অভিনব দৃশ্য। দেখতে পাওয়া গেল, টোটো করে বেশ কয়েকজন মাইকিং করতে করতে যাচ্ছেন। ভালো করে নজর দিলে বুঝতে পারা যাবে যে তারা বলছেন, আমরা তৃণমূলের বদনাম করেছি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। এবার আমরা তৃণমূলে ফিরে যেতে চাই।

কার নেতৃত্বে তারা এই পন্থা অবলম্বন করেছে তা এখনো জানা যায়নি। যদিও জেলা বিজেপির মত অনুযায়ী, কেউ জোর করে এই কাজ করিয়েছে তাদের। তারা স্বেচ্ছায় এই কাজ করেনি। বীরভূমের জেলা বিজেপি সভাপতি দ্রুব সাহা বলেছেন, অনেকেই নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। শাসক দল কোন কিছুই করছে না। তাই বাধ্য হয়ে পড়ে এসব কাজ করছে। স্বেচ্ছায় কোন কাজ করেছে বলে আমার মনে হয় না।

তবে দল বদল করার ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, যারা ফিরতে চান তারা অবশ্যই ফিরবেন। আমরা কাউকে বারণ করিনি। অর্থাৎ মান অভিমান ভুলে গিয়ে পুরনো সৈনিকদের যে ঘরে ফেরানো যায় তা আরেকবার প্রমান করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন দল ত্যাগী নেতা বা নেত্রী কে দলে ফিরিয়ে আনা হয়নি, অর্থাৎ ফেরানোর বার্তা দিলেও সহজে এখনো কারো ঠাঁই হবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না।