সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বীরভূমের স্বাস্থ্যসাথী চ’ল’বে না বর্ধমানে, এই কারণ দে’খি’য়ে রোগীকে ফি’রি’য়ে দি’লো নার্সিংহোম

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্বেও কোনও নার্সিংহোম রোগী ফিরিয়ে দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণ করেছিলেন। তার পরেও বেসরকারি নাসিংহোমে গুলির গা জোয়ারি বন্ধ হয়নি।এবার আহমদুল্লার ঘটনা ফের একবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা স্বত্ত্বেও নার্সিংহোমের দরজায় দরজায় ঘুরে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগী ও তাঁর পরিবার।

তাই আবারও প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডের পরিষেবা। আহমদুল্লা বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা। নয় বছর আগে মল্লারপুরের থানার তাঁর স্পাইনাল কর্ড ছিঁড়ে যায়। সেই থেকে দু’টি পা অচল। পেয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধীর তকমা। তার উপর গত একবছর থেকে দেখা দেয় ইউরোলজি সমস্যা। রোগ সারিয়ে তুলে আসেন পার্শ্ববর্তী জেলা বর্ধমানে। ডাক্তাররা পরামর্শ দেন অস্ত্রোপচারের।

আহমদুল্লার অভিযোগ, দীর্ঘ দু’মাস ধরে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোমে ঘুরেও ভর্তি হতে পারছেন না তিনি। বীরভূমের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বর্ধমান জেলায় চলবে না। এই অজুহাতে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। ইতিমধ্যেই বর্ধমান শহরের এক প্রাইভেট ডাক্তারকে দেখিয়েছেন। কিন্তু তাঁর এই রোগের চিকিৎসার অস্ত্রোপচার বাবদ ডাক্তারবাবু ৬০ হাজার টাকা দাবি করেছেন, যা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ।

তাই তিনি চিকিৎসা করানোর জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বিভিন্ন নার্সিং হোমে যোগাযোগ করেন। বুধবার বর্ধমানের বেশ কয়েকটি নার্সিংহোমে যান। তবে মেলেনি চিকিৎসার সুযোগ। গত কয়েকদিনের মত আজও একই উত্তর পান তিনি। শেষমেশ চিকিৎসা পেতে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের শরণাপন্ন হন আহমদুল্লা। অভিযোগ জানান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা স্বত্ত্বেও বর্ধমানের নার্সিংহোমেগুলি তাঁকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চাইছে না। তাঁর যা আর্থিক সঙ্গতি তাতে তার পক্ষে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়।

এই প্রসঙ্গে যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী জানান, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রাজ্যের যে কোনও জায়গায় চিকিৎসা করানো যাবে। বীরভূমের কার্ড বর্ধমানে নেওয়া যাবে না এমন কোনও বিষয় নেই। যদি আমাদের কাছে তেমন কোনও লিখিত অভিযোগ আসে তাহলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”