সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ব’ড়ো পদক্ষেপ SSC-র, ১৮৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা চি’হ্নি’ত, এখনো পর্যন্ত ব’র’খা’স্ত ২০

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে পদক্ষেপ নিল এসএসসি। মোট ১৮৩ জনকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করনের কাজও সমাপ্ত হয়েছে যার মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে ২০ জনকে। বাকিদেরও দ্রুত বরখাস্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এসএসসি কলকাতা হাইকোর্টের কাছে তেমনই হলফ নামা জমা দিয়েছে। এছাড়াও এসএসসি আরো কিছু অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারেও তথ্য পেয়েছে। সেই সমস্ত কিছু মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করবে বলে জানিয়েছেন এসএসসি কতৃপক্ষ। আগামী ১৬ ই নভেম্বর আদালতে সেই রিপোর্ট পেশ করা হবে যার ফলে দেখা গেছে নবম দশম স্তরে বেআইনিভাবে চাকরি দেয়া হয়েছে বহু শিক্ষককে।

গত ২১শে সেপ্টেম্বর অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই এবং এসএসসির কাছে বেআইনি নিয়োগের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তারপরে ২২ শে সেপ্টেম্বর এসএসসির সাথে বৈঠকে বসেন আইনজীবীরা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীরা ও এছাড়াও সচিব ও কমিশনের চেয়ারম্যানরা। যেখানে তাঁরা ২০১৬ সালের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের ভিত্তিতে যে নিয়োগ হয়েছে তার তালিকাও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। দুটো তালিকা মিলিয়ে প্রথম পর্যায়ে ১৮৩ জনকে চিহ্নিত করা গেছে।

তবে সবথেকে বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে মুর্শিদাবাদে ৩৭ জন এর পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৯ মালদহে ২৫ দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৭ উত্তর দিনাজপুরের ১৩ কোচবিহারে ১২ পূর্ব মেদিনীপুরের ১০ জলপাইগুড়িতে ৮ কলকাতা ৭ বাঁকুড়ায় ২ উত্তর চব্বিশ পরগনা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন করে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তথ্য সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবে হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরাও।

আরো পড়ুন: কিছু উপদেশ দেওয়ার চে’য়ে না দেওয়াই ভা’লো, বরং চু’প থাকুন!

তাঁরা বলছেন ওই সমস্ত শিক্ষকদের দেখে তাদের সন্দেহভাজন মনে হলেও তাদের করার মত কিছুই ছিল না কারণ তাদের সুপারিশপত্রে কমিশন ও পর্ষদের শীর্ষ কর্তাদের স্বাক্ষরও থাকতো। সর্বশেষ রিপোর্ট পাওয়া অনুযায়ী গ্রুপ ডি গ্রুপ সি এবং নবম দশমন ও একাদশ দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে অবৈধ নিয়োগ হয়েছে প্রায় ৮১৬৩ জনের। যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত ৯৫২ জন শিক্ষকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাদেরকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

তবে আগামী দিনে এই তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও আলোচনায় থাকছে এন্টি করাপশন ব্রাঞ্চের প্রধানরাও। আগামী দিনে আরো কত বেআইনি নিয়োগের তথ্য ফাঁস হয় তার দিকেই তাকিয়ে আছে সকলে।