সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কিছু উপদেশ দেওয়ার চে’য়ে না দেওয়াই ভা’লো, বরং চু’প থাকুন!

গোটা পৃথিবীতে অনেক মানুষ রয়েছেন এবং যাদের জীবন যাত্রার পদ্ধতি একে অপরের থেকে একদমই আলাদা। জীবনে এমন মানুষ আছেন যাদের সুখী দাম্পত্য জীবনকে নিয়ে এ সমস্ত বিষয় নিয়ে তারা সুখে দিন কাটাচ্ছে আবার কারোর এমনও জীবন রয়েছে যারা শুধুমাত্র গোটা জীবন ধরে উপদেশ, পরামর্শের ভিত্তিতে জীবন কাটিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে আমরা বিভিন্ন রকম পরামর্শ পেয়ে থাকি, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বলে সব সময় চুপ থাকাটাই সব থেকে বেশি ভালো। সমস্ত ক্ষেত্রে কথা না বলাটা একটা ইতিবাচক দিক। এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো কিছু উপদেশ বাণী কথা যেগুলো সাধারণভাবে একে অপরকে আমরা বলে থাকি।

যেমন চাকরি বিষয়ে সমস্যা তৈরি হলে সে ক্ষেত্রে বলা হয় ,”চাকরিটা ছেড়ে দাও ভালো মনে হয় করো”। এই কথাটা যাকে আপনি বলছেন তার হয়তো ভালো লাগবে, কিন্তু হয়তো একটা মানুষ তার ক্যারিয়ার জীবনে অত্যন্ত চিন্তার মধ্যে রয়েছে সেই জন্য এই ক্যারিয়ার জীবন থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। অথচ দেখতে পাচ্ছে চাকরি যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তবে ভবিষ্যৎ ভালো হবে না কারণ তার মাথায় রয়েছে দায়িত্ব।

এরকম অনেক মানুষই রয়েছেন যাদের চাকরি ভালো লাগে না কিন্তু নিজের পরিবার পরিজনের জন্য অর্থ জোগাড় করার জন্য সে চাকরিদাতাকে করতেই হয় সেই জন্য চাকরিটা ছেড়ে দেওয়ার মন যদি কেউ করে থাকেন তাহলে সেটা কখনোই করা উচিত নয় এবং এই পরামর্শ দেওয়া উচিত নয়। অনেকেই বলে থাকেন,” সন্তান যদি হয় তবে একটা অন্য অনুভূতি আসবে”, সত্যি বলতে একজন বাবা মা হওয়ার পর সেই মানুষগুলির নতুন জীবন শুরু হয়।

আরো পড়ুন: ধনতেরাসে এই কয়েকটি জিনিস মাথায় রে’খে ঘর সাজান, আ’স’বে মা লক্ষ্মী

নারীদের বলা হয় মেয়েরা মা হওয়ার পরেই বুঝবে জীবনের মানে কিন্তু এগুলো এক ধরনের ভুল কথা। পৃথিবীতে এমন অনেক নারী রয়েছেন তারা মাতৃত্ব লাভ করতে একদমই পছন্দ করেন না। তারা ভাগ্নে ভাতিজাদের নিয়ে আনন্দে জীবন কাটিয়ে দিতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের একটি মানসিকতা কিন্তু মোটেও ভুল না একজন সন্তানের মা হওয়া থেকেও তার কাছে হয়তো অন্য বিষয়গুলো বেশি জরুরি বলে মনে হয়েছে তাই এই ধরনের কথা ভেবেছে।

কখনো নারীকে বলতে যাওয়া উচিত নয়,” মা হলে চাওয়া-পাওয়া বদলে যায়”। অনেকের মুখে বলতে শোনা যায় সন্তান না নেওয়া স্বার্থপরতা কিন্তু সত্যি বলতে আপনাদের কি মনে হয় যে সন্তানের বাবা মারা কখনোই স্বার্থপর হয় না? সন্তান নেওয়া বা না নেওয়া কিন্তু মানুষের নিজস্ব চিন্তাভাবনা। নিজের জীবন কাটানোর জন্য কেউ যদি সন্তান না নিতে চান তাহলে সেটা কি কখনো স্বার্থপরতা বলা ঠিক না।

অনেকের মুখেই পরামর্শ হিসেবে শোনা যায় ,”বিয়ে-সন্তান সমাজ নিয়ে একটা সময় তোমার মানসিকতা অবশ্যই বদলাবে”, বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যখন সবার সকল যুক্তি দেওয়া হয়ে যায় সেই সময়ে উপদেশদাতা এই ধরনের কথা প্রয়োগ করেন। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে বিভিন্ন রকম বিষয় থাকে এবং তারা অনেক সময় সেই সমস্ত বিষয়গুলির সাথে মানিয়ে নিতে পারে না।

তারা সব সময় প্রচলিত সামাজিক ব্যবস্থার বিপরীতে যাওয়ার জন্য তৈরি থাকে এবং তাতে সেটা খারাপ বলে মনে করা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে এবং সেই মানুষটি যদি বোঝার হয় তাহলে বুঝবে না বোঝার হলে বুঝবেন না সে ক্ষেত্রে তার চিন্তা ভাবনার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত চুপ থাকা উচিত।