শুক্রবার হায়দ্রাবাদ সেকেন্দ্রাবাদ-এ ফুলস্পিডে দুটি ট্রেন ধাক্কা লাগানো হবে। তার মধ্যে একটা ট্রেনে থাকবেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দ্বিতীয় ট্রেনে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা থাকবেন।
এর মধ্য দিয়ে রেলওয়ে দেশি টেকনিকে কবচ এর পরীক্ষা করবে দেশের এমন টেকনিক জানিয়ে দাবি করা হচ্ছে যে এটি লাগু করা হলে এখন থেকে দুটি ট্রেনের মধ্যে ধাক্কা লাগবে না।
এই দুনিয়ার সবচেয়ে সস্তা দেশি টেকনিক এটি বলেও দাবি করা হয়েছে। রেলওয়ে যে ‘জিরো অ্যাক্সিডেন্ট’ লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য স্বয়ংক্রিয় বা স্বচালিত ট্রেন সুরক্ষা (এটিপি) প্রণালী নির্মাণ করা হয়েছে। শুক্রবার একটা ট্রেনকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আটকানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
সিনিয়র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে, যখন ডিজিটাল সিস্টেম কেড়ে নেয় কিংবা অন্য কোনও সমস্যার কারণে ভুল দেখতে পাবে, তখন ট্রেন নিজে নিজেকে আটকে দেবে।
তিনি জানিয়েছেন যে একবার এটি হওয়ার পর এটা চালানোর জন্য ৫০ লাখ টাকা প্রতি কিলোমিটার খরচ হবে, যেখানে গোটা দুনিয়ায় এমন টেকনিক এর জন্য ২ কোটি টাকা খরচ হয়।
নিউজ এজেন্সি পিটিআইয়ের অনুসারে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সমুদ্রগড়-শংকর্পল্লি ট্রেনে সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য নিজেই সেকেন্দ্রাবাদ-এ থাকবেন। রেলের সঙ্গে জড়িত আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে রেলমন্ত্রী এবং সিআরবি রেলওয়ে বোর্ডের অধ্যক্ষ ৪ মার্চ হতে চলা এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এই টেকনিকে যখন এমন সিগনাল থেকে ট্রেন পাস করবে যেখানে সাধারণত ট্রেন যাওয়ার অনুমতি থাকে না। এ কারণে এর মাধ্যমে সতর্কতা সিগনাল পাঠানো হয়।
লোকো পাইলট এবং যদি ট্রেনটিকে আটকানোর জন্য ব্যর্থ হন, তাহলে টেকনিক এর মাধ্যমে নিজেই ট্রেন লেগে যাবে এবং যে কোনও অ্যাক্সিডেন্ট থেকে বেঁচে যাবে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, সিস্টেমটি হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও কমিউনিকেশন এর উপর কাজ করে। যা সিকিউরিটির সবচেয়ে বড় স্তর।