সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সাবধান, অ্যাডিনো ভা’ই’রা’সে আ’ক্রা’ন্ত হচ্ছে শহরের বাচ্চারা! উপসর্গ গু’লো কি কি?

শীতের মরশুম শেষ , ধীরে ধীরে গরম পরতে শুরু করেছে। আর সেই কারণেই এবার জ্বর সর্দি কাশি বেশি দেখা যাচ্ছে শিশুদের মধ্যে। করোনার পর থেকে এমনিতেই জ্বর সর্দি কাশির পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে , কিন্তু বর্তমানে কলকাতা ও জেলার সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা দারুণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইতিমধ্যেই পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শয্যার আকাল দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সবার মধ্যে দারুন চিন্তা দেখা যাচ্ছে, আসলে যে সংখ্যায় শিশুরোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের ৯০ শতাংশই নাকি অ্যাডিনো ভাইরাসের শিকার এমনটাই জানিয়েছে চিকিৎসকেরা।কারণ শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।

২০১৮-১৯ সালের পর আবার ফিরে আসল এই ভাইরাস। তবে গত বছরগুলো তুলনায় এবার সেই সংক্রমণ আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে বলে মনে করছে চিকিৎসকেরা। এর কারণ একটাই সেটা হলো ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যাওয়া। করোনা থাকাকালীন যে নিয়মকানুন মেনে চলেছে শিশুরা এখন তারা সেই নিয়ম কানুন মানে না , মাস্ক পরে না।

আরো খবর: বি’য়ে’র নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে গলায় হাড় আ’ট’কে মৃ’ত্যু যুবকের

তার ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে অল্পতেই কাবু হয়ে যাচ্ছে তারা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছে এবারের ভাইরাস শিশু ও বয়স্কদের বেশি করে আক্রমণ করছে। মোটকথা যাদের ইমিউনিটি পাওয়ার অনেকটাই কমে গেছে তাদের জন্য এটা ভয়ঙ্কর প্রমাণিত হতে পারে।

একটা সময় অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করলেও এখন বর্তমানে সেটা দিয়ে কোনোমতেই ভাইরাসকে আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না। একটা সময় ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধলে পেটের সমস্যা কিংবা শ্বাসকষ্ট পর্যন্তই দেখা যেত, কিন্তু এখন সেটা ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত গড়াচ্ছে।

বায়ুবাহিত অ্যাডেনোভাইরাস সাধারণত চোখ, অন্ত্র, মূত্রনালী ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। যদি এই মরশুমে শিশুদের জ্বর সর্দি কাশি হয়, তাহলে সেটাকে হালকা ভাবে না নেওয়াই ভালো। শিশুরা যদি সর্দি কাশি জ্বর তার সাথে শ্বাসকষ্টতে ভোগে তাহলে একটুও সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।