সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কথার খে’লা’প করতেন বারবার, নি’জে দো’ষ করতে থাকায় গোবিন্দকে ভু’লে গিয়েছে বলিউড

গোবিন্দ অরুণ আহুজা ওরফে গোবিন্দ বলিউডের অভিনেতাদের মধ্যে আশি এবং নব্বইয়ের দশকে সাফল্যের চূড়ায় উঠেছিলেন। দর্শকের কাছে অভিনয় দক্ষতার জন্য ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এক টানা ১৪-১৫ বছর চুটিয়ে কাজ করার পরেও তিনি ধীরে ধীরে বলি ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। অভিনেতা এর জন্য নাকি দায়ী নিজেই। এমনটাই মনে করেন বলিপাড়ার বহু তারকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলি অভিনেতা তিনু বর্মা গোবিন্দের ‘অপেশাদার’ আচরণ নিয়ে মুখ খোলেন।

কথা প্রসঙ্গে ‘অচানক’ ছবির শুটিংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনু। ১৯৯৮ সালে এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। গোবিন্দের বিপরীতে ‘অচানক’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মনীষা কৈরালাকে। তিনুও এই ছবির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যে, শুটিংয়ে কখনও সঠিক সময়ে আসতেন না গোবিন্দ। তিনুর দাবি, ‘অচানক’ ছবির প্রযোজক বিজয় গালানিও গোবিন্দের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন।

গোবিন্দ ব্যাপারটি আঁচ করে নিজে থেকেই কথা দেন যে, পরের দিন সঠিক সময়ে ফ্লোরে আসবেন। তাঁর জন্য কাউকে অপেক্ষা করতে হবে না। গোবিন্দের কথামতো হোটেলে একটি ঘর বুক করেন প্রযোজক বিজয়। বিজয় ভেবেছিলেন, হোটেলের ঘরে আগের দিন রাতে অভিনেতা বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকেই শুটিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন গোবিন্দ।

আরো খবর: রাস্তার ভিখারিকে বী’মা করিয়ে হ’ত্যা, জ’ড়ি’ত খোদ পুলিশ! কিভাবে ঘট’লো এমন ঘ’ট’না?

পরের দিন সকালে শুটিং ফ্লোরে সবাই তৈরি হয়ে অপেক্ষা করছেন। গোবিন্দ আসার আগেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন।কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও গোবিন্দের দেখা মিলল না। বার বার ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া গেল না অভিনেতাকে।

হোটেলে খোঁজ নিয়ে বিজয় জানতে পারলেন যে, গোবিন্দ আগের দিন হোটেলে আসেনইনি। তিনুর বক্তব্য, সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরিয়ে গিয়েছিল। তবুও গোবিন্দের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।