সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সিঙ্গেল মাদার হওয়ায় মেয়েকে শহরের নামী স্কুলগুলোতে ভ’র্তি ক’র’তে পারিনি: স্বস্তিকা

টলিউডে নিজের সাফল্য আগেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, তবে এবার টলিউডের বাইরে গিয়ে আরব সাগরের নিজের সাফল্য অর্জন করতে পারি দিলেন তিনি। সব সময় তার চরিত্র এবং অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের, তবে তার ব্যক্তিগত জীবন কি রকম সে নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহী নেটিজেনরা।

যদিও সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেন অভিনেত্রী। সন্তান প্রেম-বিয়ে সমস্ত কিছু নিয়ে যখন তার কাছে কোনো প্রশ্ন আসে তার উত্তরে তিনি অকপটে নির্ভয়ে দিয়ে থাকেন। তাকে নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে সবসময় তবে যদিও তিনি কখনোই চুপ থাকেন নি।

বছরখানেক আগে জিবাংলা একটি শো অপুর সংসারে অভিনেত্রী এসেছিলেন এবং সেই শো র একটি পার্ট সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে এই শো টির সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় স্বস্তিকাকে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি সতেরো বছর ধরে যে সিঙ্গেল মাদার রয়েছে সেটি তার কাছে কতটা কঠিনের রাস্তা, যদিও এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দিয়েছেন স্বস্তিকা।

আরো পড়ুন: রেলে বিপুল সংখ্যক নি’য়ো’গ, মো’টা বেতন, জানুন আবেদন প’দ্ধ’তি

তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে জানান,”এক সময়ে তার মেয়ে অন্বেষাকে স্কুলে ভর্তি করাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই সময় তাঁকে বেশ অসুবিধায় ভোগ করতে হয়েছে, এডমিশন টেস্ট থেকে শুরু করে ভর্তি হওয়া এই সমস্ত কিছুতেই মা-বাবা দু’জনকেই আসতে হতো, কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমি একাই সেখানে উপস্থিত থাকতাম।

কলকাতার বড় বড় স্কুলে আমি শুধুমাত্র একজন সিঙ্গেল মাদার বলে আমার মেয়েকে ভর্তি নেয়নি”। তার সঙ্গে তিনি আরো জানান,” তিনি তার বাবাকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে কথা বলার জন্য নিয়ে যেতেন। প্রত্যেকটা সময় ইস্কুলের থেকে উত্তর আসতো এই বছরটা নয় পরের বছরে চেষ্টা করে দেখেন যদি হয়, এবছর করতে করতে অনেক বছর কেটে গিয়েছিল”।

তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে সন্তানকে তিনি একা বাবা মার আদর দিয়ে পালন করছেন এবং যেটা এখন অনেক সহজ বলেই তার মনে হয়েছে। অন্বেষা সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। স্বস্তিকা ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন গায়ক প্রমিত সেনের সাথে যদিও এই সম্পর্ক দুই বছরের বেশি টেকেনি।

বহুদিন ধরেও তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে আইনত ঝামেলা চলছিল। তবে অভিনেত্রী বিয়ে সম্পর্কে জানান, তিনি আর কখনোই বিয়ে করবেন না, কারণ সতেরো বছর ধরে তিনি যে একা জীবন টাকে লড়াই করেছেন সেটাই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।