২০১৫ সালের ১২ মে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস কে লেখালেখির জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিমের সদস্যদের হাতে খুন হয়েছিলেন।
আদালত এই হত্যা মামলার রায়ে বুধবার চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিল। এদিন দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এই রায় দেন।
এমনকি এই রায়ে একজনকে বেকসুর খালাসও করা হয়েছে। অনন্ত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হল- আবুল খায়ের রশিদ আহমদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, ফয়সল আহমদ ও হারুন অর রশিদ।
তাদের মধ্যে আবুল খায়ের রশিদ আহমদ ছাড়া বাকি তিন আসামী পলাতক রয়েছে। মামলায় আরেক আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে খালাস দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি অপর আসামী মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহী কারাগারে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে সরকারি কর্মীদের স’ঙ্গে জ’ঙ্গি’যো’গ, ক’ঠো’র পদক্ষেপ
বাংলাদেশে বহুল আলোচিত এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মুমিনুর রহমান টিটু, বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সমর বিজয় সী শেখর, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, নিতু কান্ত দাশ ও নাদিম রহমান।
আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাব্বির আহমদ ও ইমরান আহমদ। ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদ বাজারের নূরানি আবাসিক এলাকায় ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিম।
পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। তিনি বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ অজ্ঞাত পরিচয় চারজনের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলাটি পরে সিআইডির হাতে স্থানান্তর করা হয়। সেই মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।
